কার্বন নিঃসরণকারীদের অঙ্গীকার রক্ষা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে অধিক মাত্রায় নিঃসরণকারী দেশগুলোকে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার ইতালির মিলানে দশম আসেম শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার ব্যাপারে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এ ধরনের সমস্যা বিশ্বশান্তি ও প্রবৃদ্ধির পথে প্রধান অন্তরায়। দুই দিনের এ সম্মেলন গতকাল শেষ হয়েছে। বাসস, ইউএনবি।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশ কখনোই কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশগুলোর অঙ্গীকার ও তাদের গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে বিশাল তারতম্য রয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বৈশ্বিক সহযোগিতা এখনও অনুপস্থিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ব্রাজিলের রিওডি জেনিরোতে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় সব দেশের নেতারা ‘সবার সুন্দর ভবিষ্যৎ’ নিয়ে যে স্বপ্নের কথা বলেছিলেন তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুঝুঁকিতে থাকা নিম্ন আয়ের দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার উন্নয়ন বাজেট জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুতিমুখী করতে বাধ্য হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস বাংলাদেশের উপকূলীয় জনপদে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
এখনই যদি বিশ্ব সম্প্রদায় জলবায়ুর হুমকি মোকাবেলায় এগিয়ে না আসে তবে পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। তিনি বলেন, বন্যা-জলোচ্ছ্বাস-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে অনেক কিছু শিখেছে। এ অভিজ্ঞতা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিনিময় করতেও প্রস্তুত বাংলাদেশ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গ্রহণ করা কৌশল ও কার্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তার সরকার ৩২ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করেছে এবং দেশব্যাপী ১৫ লাখেরও বেশি রান্নার উন্নতমানের চুলা প্রদান করেছে। পাশাপাশি লবণাক্ততা সহনীয় বিভিন্ন ধরনের শস্য উদ্ভাবন করা হয়েছে।