কুতুবদিয়া, হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাতিয়া, কুতুবদিয়া ও নিঝুম দ্বীপে গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। তাই সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে মাতারবাড়ি থেকে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ যাবে। নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হবে নিঝুম দ্বীপে।
বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারের যৌথ একটি কোম্পানি এই কাজ করবে। যৌথ এই কোম্পানিতে বাংলাদেশের পাওয়ার সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সাথে আছে মালয়েশিয়ার জেএটিআই ও মিয়ানমারের ইয়াংগিন। ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর জিডি-২’ এর আওতায় এই কাজ হচ্ছে।
হাতিয়া, কুতুবদিয়া ও নিঝুম দ্বীপে মোট ৭২০ কিলোমিটার সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন স্থাপন করা হবে। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এসব কাজ শেষ হবে বলে লক্ষ ঠিক করা হয়েছে।
কক্সবাজারের মাতারবাড়ি থেকে মগনামা ঘাট পর্যন্ত ৩৩ কেভি নদীর নিচ দিয়ে লাইন নির্মাণ করা হবে। মগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সাবমেরিন লাইন নির্মাণ করা হবে। করা হবে কুতুবদিয়ায় দুই কিলোমিটার ওভার হেডলাইন ও বিতরণ লাইন। নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে তিনটি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। হাতিয়া থেকে ১১ কেভি সাবমেরিন লাইনের মাধ্যমে নিঝুম দ্বীপে বিদ্যুৎ নেওয়া হবে।
হাতিয়ায় ১০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়েছে। বেসরকারিভাবে এই কেন্দ্র করা হচ্ছে।
হাতিয়ায় ৫টি ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে শুরু করে হাতিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ। প্রকল্প শেষ হলেগ্রিডের বিদ্যুৎ ওখানে যাবে। এতে প্রায় চারশ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। সম্পূর্ণ দ্বীপ হওয়ায় সেখানে গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌছানো সম্ভব হয়নি। নদীর নিচ দিয়ে সাবসেরিন কেবলের মাধ্যমে এখন বিদ্যুৎ নেয়া হচ্ছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম পূর্ণ করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।