কুমিল্লা-চাঁদপুর সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা দ্বিগুণ করার উদ্যোগ
কুমিলা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ১৩২ কেভি ক্ষমতার সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য এই লাইনের তার পরিবর্তন করবে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিঃ (পিজিসিবি)। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের মদুনাঘাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ১৩২ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনও নির্মান করবে তারা।
রোববার পিজিসিবির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
সিসিসি-ইটার্ণ-হ্যানবেক কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করে পিজিসিবি। পিজিসিবির পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. আশরাফ হোসেন এবং কনসোর্টিয়ামের পক্ষে সিসিসি এর চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ হুয়া জি চুক্তিতে সই করেন। এ সময় পিজিসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী, নির্বাহী পরিচালক (পিএন্ডডি) চৌধুরী আলমগীর হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (এইচআর) মো. শফিকউল্লাহ, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) পরেশ চন্দ্র রায়, প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী দেড় বছরের মধ্যে কুমিল্লা-চাঁদপুর ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের তার পরিবর্তনের কাজ শেষ করা হবে। প্রায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লাইনে উচ্চ ক্ষমতার আধুনিক বৈদ্যুতিক তার ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হবে।
চুক্তি অনুসারে, চুক্তি সাক্ষরের ১৮ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। এতে প্রায় প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), পিজিসিবি ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে এই অর্থায়ন করবে। পিজিসিবির ‘৪০০/২৩০/১৩২ কেভি গ্রীড নেটওয়ার্ক ডেভলপমেন্ট প্রকল্প’ এর আওতায় এ কাজ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কুমিল্লা-চাঁদপুরের হাইভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন অনেকদিনের পুরনো। তার পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি মদুনাঘাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ড সঞ্চালন লাইন নির্মাণ হলে সেখানেও সঞ্চালন সক্ষমতা বাড়বে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন তারা।