ক্যাপটিভ বিদ্যুতে আর গ্যাস নয় – উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, দেশে গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে গ্যাস পাওয়া গেলেও তা গ্রাহক পর্যায়ে আসতে কমপক্ষে ১০ বছর লাগবে। এই দশ বছর কঠিন সময়। তাই গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে হবে।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে ‘বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন : সরবরাহে গ্রাহকের আস্থা’ প্রসঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ক্যাপটিভ পাওয়ার এবং গীজারে আর নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া হবেনা। যারা গীজার ব্যবহার করছেন তাদের নোটিশ দেয়া হবে যাতে, তারা সোলার সিস্টেমে রূপান্তর করে নেয়। আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে এলএনজি আসবে বলে তিনি জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে শিল্প প্রতিষ্ঠানে মান সম্মত বিদ্যুৎ প্রয়োজন। ক্রমবর্ধণশীল শিল্পাঞ্চলগুলোতে দ্রুত মানসম্মত বিদ্যুৎ দিতে হবে। তবে বেশীরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ফিডার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহে শিল্পখাতকে অন্যান্য খাত থেকে আলাদা করা জরুরী। তিনি এলপি গ্যাসে ভর্তুকী দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
ডিসিসিআই-এর সভাপতি হোসেন খালিদ এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর কবির, পিডিবি’র প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, পিজিসিবি’র মহা-ব্যবস্থাপক অরুন কুমার সাহা। বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই-এর জেষ্ঠ্য সহসভাপতি হুমায়ুন রশিদ, পরিচালক খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, আলহাজ আব্দুস সালাম, সাবেক সভাপতি রাশেদ মাকসুদ খান ও মতিউর রহমান, ঢাকা কাবের প্রেসিডেন্ট খায়রুল মজিদ মাহমুদ, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী খায়ের এম খান, টাইলস এসোসিয়েশনের আজিজুল হাকিম সুমন, নাসিরউদ্দিন এ ফেরদৌস প্রমুখ। ‘পাওয়ার সিস্টেম ডেভেলপম্যান্ট : রিলায়েবল সাপ্লাই টু কাস্টমারস পার্সপেকটিভ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে ডিসিসিআই’র সদস্যরা এবং বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।