কয়লা আমদানিতে বিদ্যুৎ-নৌ যৌথ সহযোগিতায় বন্দর নির্মান করবে

বিদ্যুৎ ও নৌ মন্ত্রণালয় যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রে কয়লা আমদানির জন্য সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করবে। বন্দর নির্মান, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করবে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে বন্দরে কয়লা আমদানির সকল তথ্য নৌ মন্ত্রণালয়কে দিতে হবে। উভয় মন্ত্রণালয় কয়লা টার্মিনাল নির্মান ও পরিচালনায় সহায়তা করবে।
এবিষয়ে বিদ্যুৎ ও নৌ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে মঙ্গলবার সমঝোতা সই হয়েছে। নৌ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব শফিক আলম মেহেদী এবং বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে সচিব মনোয়ার ইসলাম সমঝোতায় সই করেন। এসময় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ সংশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ি, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) জেটি ও কয়লা পরিবহনের জন্য নৌ পথ তৈরী করবে। এই কাজের জন্য নৌ মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে। অন্য কেউ এই জেটি ব্যবহার করতে চাইলে সিপিজিসিবিএল এর অনুমতি নিতে হবে। তদারকি ও পরিচালনা করলেও কী পরিমান কয়লা আমদানি করা হচ্ছে এবং কতটি জাহাজ যাতায়াত করছে তা সব সময় নৌ মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। নৌ মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ি জাহাজ বা ভেসেল আসা যাওয়া করবে।
matarbari signing2
কয়লা আমদানির জন্য এই টার্মিনাল নির্মানে জাইকা চার বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। ২০১৬ সালে এই টার্মিণাল নির্মান কাজ শুরু হবে। বর্তমানে সমীক্ষার কাজ চলছে। কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রর কয়লা আমদানী করতে জেটি নৌপথ (চ্যানেল) নির্মাণ করা হচ্ছে।
জেটিটি হবে দেড় কিলোমিটার লম্ভা। জেটি থেকে ২৫০ মিটার চওড়া চ্যানেল নির্মাণ করা হবে।
নৌ মন্ত্রী এসময় বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নেয়া কার্যক্রমে নৌ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে। এটি কয়লার জন্য আলাদা পোর্ট হচ্ছে। গভীর সমুদ্রে আরও একটা পোর্ট হবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রথম এত বড় প্রকল্প বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে। এতে দেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন আসবে। বিদ্যুৎ সচিব বলেন, মাতারবাড়িতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ভবিষ্যতে কয়লা আমদানি করার পরেও এই পোর্ট দিয়ে অন্য মালামালও আমদানি রপ্তানি করা যাবে।