খাগড়াছড়িতে বিদ্যুতের দাবিতে আল্টিমেটাম
আগামী ৩০ মে এর মধ্যে খাগড়াছড়ির বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে। না হলে ১ জুন থেকে হরতাল-অবরোধ, বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও সহ কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে খাগড়াছড়ি বাসী।
সোমবার খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরে ’নিয়মিত বিদ্যুৎ চাই, প্রাণের শহরে বাঁচতে চাই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুক্তভোগী খাগড়াছড়ি বাসীর ব্যানারে এক অবস্থান কর্মসুচি থেকে এ হুমকি দেয়া হয়। কর্মসূচীতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী, কৃষক-শ্রমিক, বিভিন্ন পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান-পাট ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।
অবস্থান কর্মসূচীতে প্রভাত তালুকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র শেখর, কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মো. আমিন শরিফ, গ্রীল ওয়ার্কসপ সমিতির পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোঃ গিয়াস উদ্দীন, অবস্থান কর্মসূচীর সমন্বয়কারী মো. জামাল উদ্দীন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এস এম নাজিম, মাসুদ রানা, শেফালিকা ত্রিপুরা, মো. আবদুর রহিম, আসাদুল আসাদ, আজম-উল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, খাগড়াছড়িতে বেশ কয়েক বছর যাবৎ বৈদ্যুতিক সমস্যা, ঘন ঘন লোডশেডিং, লো-ভোল্টেজের সমস্যা হচ্ছে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে একমাত্র খাগড়াছড়িতেই সপ্তাহে ঘোষিত দুই দিন আর অঘোষিত ভাবে পুরো সপ্তাহে বেশির ভাগ সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। যা বাংলাদেশের আর কোন জেলায় এ নিয়ম প্রচলিত নেই। আনুপাতিক হারে হিসাব করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গড়ে ৩ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যায়না। এই বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য খাগড়াছড়ি বাসী বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ায় সমস্যা, চিকিৎসা সেবায় ভোগান্তি, দাপ্তরিক কাজে ব্যাঘাত, ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি, লো-ভোল্টেজের কারণে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর ক্ষতি হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
তারা বলেন, ৩০ মে এর মধ্যে অবশ্যই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্যথায় পহেলা জুন থেকে হরতাল-অবরোধ, বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও, লাগাতার কর্মসূচীসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি নেয়া হবে।