গভীর সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র কিনেছে ৭ আন্তর্জাতিক কোম্পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক সাতটি কোম্পানি দেশের গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে অংশ নিতে দরপত্র কিনেছে।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাওঁ এ পেট্রোবাংলা আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান। গত মার্চে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা।
সমুদ্র সম্পদ আহরণে বিদেশি কোম্পানির সুবিধা আর বাংলাদেশের অবস্থান জানাতে আয়োজন করা হয় সেমিনারের। বিদেশি একাধিক তেল গ্যাস কোম্পানি এতে অংশ নেয়।
এখানে বিনিয়োগের উত্তম পরিবেশ আছে মনে করে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, আগের দরপত্রের তুলনায় নতুন দরপত্রে অনেক পার্থক্য। এখন অনেক সুবিধা বেড়েছে। এখন দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক চুক্তি করা হচ্ছে। মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে একটি পিএসসি’র (উৎপাদন বন্টন চুক্তি) খসড়া করেছি। তিনি বলেন, জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থির থাকলেও দক্ষিণ এশিয়া অনেক শান্তিপূর্ণ একটি এলাকা। যারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ চিন্তা করেন, তারা এগুলো বিবেচনা করবেন। এই এলাকায় গ্যাসের অনেক বড় বাজার আছে। তুলনামূলক এই এলাকায় বিনিয়োগ করা কম ঝুঁকিপূর্ণ। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমাদের মনে হচ্ছে অনেকেই দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এখন কার্যক্রম শুরু করলেও, সমুদ্রে যদি গ্যাস থাকে তা পেতে অন্তত সাত বছর লাগবে। দরপত্রে দেশের স্বার্থের পাশাপাশি বিনিয়োগকারী কোম্পানির স্বার্থও দেখা হয়েছে। ফলে এবারের দরপত্র নিয়ে বেশ আশাবাদী।
সমুদ্রে তেল-গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বিনিয়োগে আগ্রহী বিদেশি অনেক কোম্পানি।
শেভরন বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার এনার্জি বাংলাকে বলেন, আমরা সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহি।
টিজিএস এর সিনিয়র জিওলজিষ্ট এলিজাবেথ গিলবার্ড এনার্জি বাংলাকে বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, এটা উত্তম সময়। যে আকর্ষনীয় সুবিধা দেওয়া হয়েছে তাতে বিদেশী কোম্পানি অনেক আসা উচিৎ।