গ্যাসের দাম বাড়াতে ঈদের পর বিইআরসিতে প্রস্তাব
ঈদের পর গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে কি পরিমাণ গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে না এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যাচাই বাছাই এরপর নতুন করে দাম নির্ধারন করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে পেট্রোবাংলা।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি পাওয়া গেছে। মন্ত্রনালয় থেকে এই অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরআগে প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দেন। ঈদের পরে গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য বিইআরসিতে আবেদন করা হবে। তারপর বিইআরসি তাদের শুনানীসহ সকল প্রক্রিয়া শেষ করে দাম নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, নতুন করে পর্যালোচনা করে গ্যাসের প্রস্তাবিত বাড়তি দাম নির্ধারণ করা হবে।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগের অনুমতি চেয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় পেট্রোবাংলা। একই সঙ্গে বিভিন্ন খাতে গ্যাসের দাম কি পরিমাণ বাড়ানো যায় সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেয়া হয়। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাম বাড়ানোর সাথে গ্যাসকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার পরামর্শ দেন।
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রস্তাব অনুযায়ি, আবাসিক খাতে এক চুলার গ্যাসের দাম ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা এবং দুই চুলা ৪৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক চুলায় ১১২ দশমিক ৫০ এবং দুই চুলায় ১২২ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। আবাসিকে মিটার ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে প্রতি হাজার ঘনফুট ১৪৬ টাকা ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩৫ টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রস্তাব ৬০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়ানোর।
এছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের জন্য ৭৯ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮৪ টাকা (৫.২৪ শতাংশ), বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ২৬৮ টাকা ০৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা (৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ), শিল্প গ্রাহকদের ১৬৫ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২২০ টাকা (৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ), চা বাগানে ১৬৫ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা (২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ), ক্যাপটিভে ১১৮ টাকা ২৬ পয়সা বাড়িয়ে ২৪০ টাকা (১০২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ) এবং সার কারখানায় ৭২ টাকা ৯২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা (৯ দশমিক ৭১ শতাংশ) করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। সিএনজিতে প্রতি হাজার ঘনফুটে ৮৪৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ১৩২ টাকা ৬৭ পয়সা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
২০১২ সালের ২০ মে পেট্রোবাংলা বিইআরসির কাছে আবাসিক গ্রাহকদের ছাড়া অন্য খাতগুলোতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। এরআগে ২০০৯ সালের ১লা আগস্ট গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়।