গ্যাসের দাম বাড়াতে কনোকোর তাগাদা

নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়াতে চায় আমেরিকার কোম্পানি কনোকোফিলিপস। বঙ্গোপসাগরে খনিজ অনুসন্ধানে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল তার থেকে বেশি দাম চাই তারা। ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকে অনুসন্ধানের জন্য চুক্তি করা হয়েছে। সাত নম্বর ব্লকে চুক্তি করার কথা থাকলেও তা করবে না বলে জানিয়েছিল। এখন চুক্তি হওয়া দুটোসহ নতুন ব্লকের জন্যও দাম বাড়ানোর তাগাদা দিচ্ছে কনোকো। মাত্র দুই বছরের মাথায় দাম বাড়ানোর তাগাদা দিচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ি প্রতি হাজার ঘনফুট (এক ইউনিট) গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয় চার ডলার দুই সেন্ট করে। পরবর্তীকালে গভীর সমুদ্রে ইউনিট প্রতি সাড়ে ছয় ডলার দাম নির্ধারণ করে পিএসসি ২০১২ নির্ধারণ করা হয়। এখন এই সাড়ে ছয় ডলার থেকেও বেশি দাম চাই কনোকো।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সাথে এনিয়ে কনোকফিলিপস এর প্রতিনিধি বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কনোকোফিলিপস জানিয়েছে, গভীর সমুদ্রে গ্যাসের দাম কম। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে উৎপাদন অংশীদারী চুক্তি (পিএসসি) সংশোধন করতে হবে। এছাড়া সাত নম্বর ব্লকটির অবস্থান অগভীর সাগরে বলা হলেও এটি আসলে গভীর সাগরে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম না বাড়ালে এখানে বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেক বেশি হবে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মঙ্গলবার বলেন, তারা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। পিএসসি অনুযায়ি গ্যাসের যে দাম আছে তা নতুন করে নির্ধারণ করতে চায় তারা। সাগরের তেল গ্যাস অনুসন্ধানের খরচের তুলনায় বাংলাদেশে গ্যাসের দাম কম।
অগভীর সাগরের সাত নম্বর ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিএসসি) করবে না বলে এপ্রিল মাসে জানিয়ে ছিল কনোকোফিলিপস। এছাড়া পিএসসি করা সাগরের ১০ এবং ১১ নম্বর ব্লকেও আর বিনিয়োগ করতে চাচ্ছিল না। এই দুই ব্লকে দ্বিমাত্রিক জরিপ শেষ হয়েছে। শর্ত অনুযায়ি ত্রিমাত্রিক করার কথা। ত্রিমাত্রিক জরিপের জন্য আর বিনিয়োগ করতে চাই না।
গত ডিসেম্বর মাসে সাত নম্বর ব্লকে অনুসন্ধানের জন্য কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তি করার কথা থাকলেও নির্বাচনকালীন সরকার থাকায় তা করা হয়নি। নতুন সরকার আসার পরে চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হলে কনোকো করবে না বলে জানিয়ে দেয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের কোম্পানি ওএনজিসির সঙ্গে পিএসসি করেছে পেট্রোবাংলা। ১২ মার্চ অগভীর সাগরের ১১ নম্বর ব্লকে অনুসন্ধানের জন্য অষ্ট্রেলিয়ার কোম্পানি সান্তোস এবং সিঙ্গাপুরের ক্রিস এনার্জির সঙ্গে চুক্তি হয়। এরপরই কনোকোর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো নানা কারণ দেখিয়ে সময় নিচ্ছে কনোকো। এছাড়া গত ১২ জানুয়ারি গভীর সাগরের ১২, ১৬ এবং ২১ নম্বর ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য কনোকো ফিলিপস ও নরওয়ের কোম্পানি স্ট্যাটঅয়েল যৌথভাবে দরপ্রস্তাব জমা দেয়।