গ্যাস উৎপাদন বাড়লেও আয় কমেছে

গ্যাস উৎপাদন বাড়লেও আয় কমেছে। কারণ বেশিরভাগ বাড়তি উৎপাদন হয়েছে বিদেশী
কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত গ্যাস ক্ষেত্র থেকে। আর বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে
কিনতে হয় বলে ক্রয় বাড়ার সাথে সাথে আয় কমেছে। তবে দেশিয় কোম্পানি পরিচালিত গ্যাস
ক্ষেত্র থেকে উৎপাদন বাড়লে আয় এই খাতে আয় বাড়তো।

চলতি বছরের গ্যাস উৎপাদন, বিক্রি এবং এ খাত থেকে সরকারের আয় ব্যয় পর্যালোচনা করে
এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এক মাসের ব্যবধানে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ গ্যাস উৎপাদন বেড়েছে। চলতি বছর ফ্রেব্রুয়ারি
মাসে উৎপাদন হয়েছিল দুই হাজার ২১৩.৬৮১ এমএমসিএফ গ্যাস। এটা মার্চ মাসে বেড়ে হয়
দুই হাজার ৩৫৮.২৫৪ এমএমসিএফ। অর্থাৎ ১৪০.৫৭৩ এমএমসি গ্যাস উৎপাদন আগের মাসের
তুলনায় চলতি মাসে বেশি হয়েছে। তবে এই উৎপাদন বাড়ার বেশিরভাগই বিদেশী কোম্পানির
কাছ থেকে। অর্ধেকেরও বেশি গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিদেশী (আইওসি) কোম্পানি থেকে। এক
মাসের ব্যবধানে আইওসি’র উৎপাদন বেড়েছে প্রায় আট শতাংশ। আইওসিগুলো ফেব্রুয়ারিতে
গ্যাস উৎপাদন করেছিল এক হাজার ৩৩২.৫৪০ এমএমসি। আর মার্চ মাসে করে এক হাজার
৪৩৮.৬৪৪। আর দেশিয় সব কোম্পানি মিলে ফেব্রুয়ারিতে গ্যাস উৎপাদন করে ৮৮১দশমিক
১৪১। আর মার্চ মাসে ৯১৫ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ঘনফুট।

গ্যাস উৎপাদন বেশি হওয়ায় এর উপজাত পেট্রোলিয়াম দ্রব্য যেমন এমএস, এইচএসডি,
কেরোসিন, কনডেনসেট, এনজিএল ও অকটেন উৎপাদনও বেড়েছে। এম মাসের ব্যবধানে
৯৯৭০.৪৪৫ হাজার লিটার তেল উৎপাদন বেড়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে ১৪০.৫৬২ এমএমসিএম গ্যাস কেনাও হয়েছে
বেশি। আর তাই বিক্রিও বেড়েছে ১০৯.২১১ এমএমসিএম গ্যাস।

বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন এন্ড
ট্রান্সমিশন কোম্পানিতে। আর কমেছে কর্ণফুলি ও সুন্দরবনে। তিতাসে ৬ শতাংশ গ্যাসের
ব্যবহার বেড়েছে। এছাড়া বাখরাবাদে বেড়েছে ৪দশমিক ৭৫, জালালাবাদে ৫.০৭ শতাংশ এবং
পশ্চিমাঞ্চলে ৫ শতাংশ ব্যবহার বেড়েছে। অন্যদিকে কর্ণফুলিতে দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং
সুন্দরবনে ৩ দশমিক ০৫ শতাংশ গ্যাসের ব্যবহার কমেছে।

এক মাসের ব্যবধানে বিতরণ কোম্পানিগুলোর সিস্টেম লস বেড়েছে ৪৪০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি
সিস্টেম লস হয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানিতে। আগের মাসের তুলনায় ২০৫ দশমকি
৪১ শতাংশ। আর তিতাস গ্যাসে সিস্টেম লস বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। তবে অন্য তিনটি
কোম্পানির এই লোকসান কমেছে। জালালাবাদে লোকসান কমেছে ২০০ শতাংশ। কর্ণফুলিতে
২৭ দশমিক ৬০ এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ।