গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি: সমাধান নাকি সমস্যা?
সাম্প্রতিক বিদ্যুৎসংকট ২০০৭ সালের প্রথম দিকে শুরু হয়, সে সময় থেকেই দেশে গ্যাস স্বল্পতার শুরু। পেশাদার ও বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত সমীক্ষায় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বারবার গ্যাস স্বল্পতার ব্যাপারে সতর্ক করে দিলেও সরকার বা পেট্রোবাংলা কেউই তাতে কর্ণপাত করেনি, সময়োচিত পদক্ষেপ নেয়নি। দেশীয় দুটি কমিটি ২০০১ সালে বলেছে যে নতুন গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস আহরণ করে সরবরাহ ব্যবস্থায় যুক্ত করা না হলে ২০১০ সালের মধ্যেই গ্যাসসংকট সৃষ্টি হবে। সিএনজি স্টেশনের মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি, শিল্পে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও গৃহস্থালিতে ব্যাপক হারে গ্যাসের সংযোগ দিয়ে ইউনিকোলের গ্যাস রপ্তানির চাপ এড়ানো হয়েছে। এভাবে পাইকারি হারে প্রায় বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার কারণে দক্ষতাও ব্যাপক হারে নেমে গেছে। ২০০০ সালে গ্যাসের ব্যবহার বর্তমানের চেয়ে অনেক কম ছিল, ফলে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে যে দৈনিক ৪০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস উত্তোলনের কথা ছিল, তা ব্যবহারের সুযোগ তেমন একটা ছিল না। শেষমেশ বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র ২০০৭ সালে উৎপাদনে এলে গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণ ইতিমধ্যে এত বেড়ে যায় যে অতিরিক্ত ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দিয়েও চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে গ্যাস ঘাটতির পরিমাণ ৫০০-৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। পেট্রোবংলার ২০১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের গ্যাসের চাহিদা তিন হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট হওয়ার কথা। বর্তমানে গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট, ফলে অপূরিত চাহিদার (প্রকৃত+সম্ভাব্য) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। শুধু বাপেক্সকেন্দ্রিক নীতির কারণে গত ১০ বছরে শ্রিকাইলে ১৬১ বিলিয়ন ঘনফুট, রূপগঞ্জ ও সুন্দলপুরে ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুতসহ তিনটি ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু বাপেক্সের এই আবিষ্কৃত গ্যাস দিয়ে বর্তমান হিসাবে মাত্র তিন মাসের সরবরাহ করা সম্ভব। দেশের কয়েকটি মূল গ্যাসক্ষেত্রের ওপরের কাঠামোতে কিছু থিন জোনের প্রতিটিতেই ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আছে। এমনকি সেগুলোর তুলনায় এই ২৫০ বিলিয়ন আবিষ্কৃত গ্যাস একেবারেই অপ্রতুল। সামগ্রিকভাবে পেট্রোবাংলা বিশ্বাস করে যে দেশের ভেতরে স্থলভাগে আর কোনো গ্যাসকাঠামো নেই। কিন্তু তার পরও তারা সমতলে গ্যাস আবিষ্কারে আইওসিকে কাজ করতে দেওয়ার বিরোধিতা করছে।
গত সরকারের আমলে দৈনিক ৮৯৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু কিছু কূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা তাদের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে কার্যকর উৎপাদন বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দৈনিক ৫৮৮ মিলিয়ন ঘনফুট। এই অতিরিক্ত উৎপাদনের কোনো অংশই নতুন আবিষ্কৃত কূপ থেকে আসেনি। প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট এসেছে আইওসি মালিকানাধীন ক্ষেত্র থেকে, আর বাকি অংশ এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত কূপগুলো থেকে। এমনকি এই আংশিক উৎপাদন বৃদ্ধির ফলেও অতিরিক্ত চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়নি। বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো থেকে আরও উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তা গ্যাসস্বল্পতা রোধে কিছুটা কার্যকর হবে, কিন্তু এর আবার দ্বিমুখী বিপদ আছে। প্রথমত, যথাযথভাবে দেখভাল করা না হলে তা মজুতের পূর্ণ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে; দ্বিতীয়ত, এর ফলে মজুত দ্রুততর ফুরিয়ে যাবে, কিন্তু ভুল করে মনে হতে পারে যে দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস সরবরাহ বজায় থাকবে।
দুটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে অতিরিক্ত উৎপাদনের অভিযোগ আছে—সাঙ্গু ও বাখরাবাদ। কোনোটার দাবিই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বুয়েটের পেট্রোলিয়াম প্রকৌশল বিভাগের জরিপে বলা হয়েছে, বাখরাবাদে উন্নততর উৎপাদন কৌশল (বালু নিয়ন্ত্রণ) গ্রহণ করা হলে সেখানকার কয়েকটি কূপের উৎপাদনকাল হয়তো বাড়ত, কিন্তু এতে চূড়ান্ত উৎপাদন কমেনি। মজুত যদি ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট হয়, তাহলে দৈনিক সর্বোচ্চ ২২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা নিরাপদ ছিল। সম্প্রতি ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানোর পর এর ব্যবস্থাপনা উন্নততর হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সাঙ্গুতে বিপুল পরিমাণ মজুত আছে বলে কেয়ার্ন এনার্জি যে ঘোষণা দিয়েছিল, তা ঠিক নয়। নিজেদের শেয়ারের দাম বাড়াতে তারা এ কাজ করেছিল। গ্যাসের দাম নির্ধারণে ১৯৯৬ সালে চুক্তি সই হয়েছিল, তাতে সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রতি হাজার ঘনফুটে তিন ডলার। মূল্যস্ফীতি ধরলে এর বর্তমান মূল্য হয়তো এক ডলারের নিচে নেমে যেত। সুতরাং পারলে চুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই পুরো গ্যাসটা তারা উৎপাদন করতে চাইবে। কেয়ার্নও সে ক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রম নয়। তারা সর্বোচ্চ মাত্রায় উৎপাদন করেছে এবং ১০ বছরের মধ্যেই তারা তা নিঃশেষ করে ফেলেছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাসের ঘাটতি থাকায় ও সরকারের অনুপ্রেরণায় তাদের এ কাজ সহজ হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি ও মনিটরিংয়ের কারণে এটা নিশ্চিত হয়েছে; চূড়ান্ত মজুত বা উৎপাদন তাতে কমে যায়নি। ধারণার চেয়েও বেশি তাড়াতাড়ি তা শেষ হয়ে গেছে।
শুরুতে বলা হয়েছিল, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট (পরীক্ষিত) গ্যাস রয়েছে। পরবর্তীকালে আরও তথ্যের ভিত্তিতে এর পরিমাণ চার ট্রিলিয়ন ঘনফুটে (পরীক্ষিত) নেওয়া হয়। প্রাথমিক বিশ্লেষণে ধারণা হয়েছিল যে উত্তোলনযোগ্য পরীক্ষিত মজুতের পরিমাণ ৬ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট হবে, যেখানে প্রাপ্ত আদি মজুত ছিল ৭ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এখন পর্যন্ত তারা পরীক্ষিত মজুতের ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করেছে। মজুত ব্যবস্থাপনার প্রেক্ষিতে এটা সত্যিই একটি অর্জন। পুরো ছয় টিসিএফ উৎপাদনের জন্য কম্প্রেসর ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়বে, আর মজুত পরিত্যাগের চাপ কমিয়ে ৩০০ পিএসআইয়ে নামাতে হবে। বর্তমানে পেট্রোবাংলার মালিকানাধীন তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের আদি মজুত হলো ৮ দশমিক ১৪৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। আর উৎপাদনযোগ্য পরীক্ষিত মজুত হচ্ছে ৫ দশমিক ৩৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস; গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যাগের চাপ হচ্ছে ৮০০ পিএসআই। কম্প্রেসর ব্যবহার করা হলে তিতাস থেকে সাত ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আহরণ করা সম্ভব হবে। এ পর্যন্ত এর উৎপাদন হয়েছে ৩ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এ দুটোই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান ক্ষেত্র। বিবিয়ানায় বর্তমানে দৈনিক ৮৫০-৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট আর তিতাসে দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে ৪২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
মজুতগুলো থেকে অতি উৎপাদন বন্ধ করতে পিএসসিতে একটি সর্বোচ্চ বাৎসরিক সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা উদ্ধারযোগ্য মজুতের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এ ব্যবস্থায় স্বাভাবিকভাবে যেকোনো মজুত ১৪ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। অবশ্যই পেট্রোবাংলার অনুমোদনক্রমে উৎকৃষ্ট মজুত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সর্বোচ্চ উৎপাদনের ব্যবহারিক সীমা হচ্ছে প্রতি ট্রিলিয়ন ঘনফুট মজুতের বিপরীতে দৈনিক ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। উদ্ধারযোগ্য যে মজুত আছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন দৈনিক এগারো–বারো শ মিলিয়ন ঘনফুটে উত্তীর্ণ করা হলে তা মজুত ব্যবস্থাপনার দিকে থেকে সঠিক। কিন্তু কেয়ার্নের মতো শেভরনও পারলে আজকেই সব টাকা তুলে নিতে চায়। গ্যাসস্বল্পতার কারণে সরকারও এই অধিক উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে মজুতের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়েই। কিন্তু বর্তমান উৎপাদন প্রোফাইলের দিকে নজর ভিন্ন দৃষ্টিতে দিতে হবে; তা ভবিষ্যতে জ্বালানি সরবরাহ মিশ্রণের পরিকল্পনার সঙ্গে খাপ খায় কি না, তা দেখতে হবে।
বাংলাদেশে এখন প্রতিবছর শূন্য দশমিক ৮৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে। এই হারে ব্যবহার হতে থাকলে বর্তমানে যে ১৫ টিসিএফ মজুত (পরীক্ষিত+সম্ভাব্য) আছে, তা শেষ হতে সাড়ে ১৭ বছর লেগে যাবে। আগামী বছর অতিরিক্ত দৈনিক উৎপাদন হবে ৫৪০ মিলিয়ন ঘন ফুট (বিবিয়ানার দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটসহ), তাতে বার্ষিক ব্যবহারের পরিমাণ হবে এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট, ফলে মজুত ফুরাতে লাগবে ১৫ বছর। নিশ্চিতভাবেই আগামী ১৫ বছরে প্রতিবছর এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা একটি চ্যালেঞ্জ হবে। তবে সেটি সম্ভব হবে না। কারণ, গ্যাসক্ষেত্রের চাপ কমে যাবে আর উৎপাদনও দ্রুত হ্রাস পাবে। এমনকি কম্প্রেসর ব্যবহার করেও এই উৎপাদন ধরে রাখা যাবে না। বিদ্যমান মজুত থেকে এই বার্ষিক এক টিসিএফ উৎপাদনের মাত্রা আমাদের সর্বোচ্চ উৎপাদন হতে পারে, যা সম্ভবত আগামী চার-পাঁচ বছর ধরে রাখা যাবে। বর্তমান ঘাটতি মোকাবিলা করতে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানো হলে মজুত দ্রুত ফুরিয়ে যাবে, আর চাহিদা বাড়তে থাকলে স্বল্পতাও খুব দ্রুত হারে বাড়বে। ৩০ বছর পরও আমাদের গ্যাস থাকবে, কিন্তু সম্ভবত দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে।
আশা করা যায়, গ্যাস উৎপাদন বাড়লে দেশ বর্তমান বিনিয়োগ অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবে, এতে শিল্পোন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। অন্যদিকে যেকোনো নতুন শিল্প বা বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে ১০ থেকে ২০ বছরের নিরবচ্ছিন্ন ও নিশ্চিত গ্যাস সরবরাহ থাকা উচিত, তাহলেই কেবল এসব শিল্প দাঁড়াতে পারবে। ওপরে উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে নতুন শিল্পের জন্য সে রকম আশ্বাস দেওয়া সম্ভব কি? উত্তর হচ্ছে, না। ফলে সরকারকে নতুন সরবরাহের সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক হতে হবে। প্রস্তাবিত অতিরিক্ত গ্যাস
যদি রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ব্যবহার করা হয়, অর্থাৎ গৃহস্থালি ও সিএনজি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে জ্বালানি সরবরাহের লড়াইয়ে আমরা হেরে যাব।
সতর্ক পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, এই সমগ্র আলোচনায় যে সীমাবদ্ধতা প্রতীয়মান হয়েছে, তা হলো আমাদের সীমিত গ্যাস মজুত। আগামী পাঁচ বছরে নতুন পাঁচ ট্রিলিয়ন ঘনফুট মজুত যোগ হলে পুরো ব্যাপারটিই বদলে যাবে। বর্তমান তৎপরতায় আমরা অবশ্য সে রকম কোনো আভাস দেখছি না। আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে এই সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখেই। আইওসি ও বাপেক্সকে যুক্ত করে সমুদ্রে ও স্থলভাগে সব জায়গায়ই নতুন গ্যাসের সন্ধানে বিপুল তল্লাশি চালাতে হবে। অন্যদিকে একটি অগ্রাধিকারভিত্তিক গ্যাস ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে, যার ভিত্তি হবে অর্থনৈতিক মানদণ্ড ও ভবিষ্যতের জ্বালানি সরবরাহ মিশ্রণের পরিকল্পনা। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের সিদ্ধান্তগুলো, তা মূল্য নির্ধারণ বা অগ্রাধিকার যা-ই হোক না কেন, যদি রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে রেখে মোটা দাগে অর্থনৈতিক ভিত্তিতে না করা হয়, তাহলে সব প্রচেষ্টাই ভেস্তে যাবে।
ম তামিম: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানিবিষয়ক বিশেষ সহকারী।