বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম কমানোর দাবিতে আদালতে যাবে ক্যাব

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আদালতে যাচ্ছে কনজুমারস অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ক্যাব আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
এসময় ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, ক্যাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম মোসাব্বের হোসেন, ড. শাহনাজ চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শামসুল আলম বলেন, অযৌক্তিক ও বেআইনিভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টাকে দাম কমানোর জন্য খোলা চিঠি দেয়া হয়েছে। তাতে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। খুব শিগগির বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে আবেদন করা হবে। বিইআরসি যদি দাম না কমায় তাহলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে। তিনি বলেন, ক্যাব আশা করছে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বেআইনিভাবে দাম বাড়ানোর এই আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, প্রতিবারেই বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। জ্বালানি উপদেষ্টা বিইআরসির সঙ্গে বৈঠক করেন, আর তার পরদিনই দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসে। এতে ক্যাব হতাশ ও উদ্বিগ্ন। শামসুল আলম বলেন, দাম বাড়ানোর আদেশের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন শুরু করা হয়েছে। বেআইনিভাবে দাম বাড়ালে ভোক্তারা বিদ্যুৎ বিল দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে।

সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, বিইআরসির আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে কোন কোম্পানি যদি মুনাফায় থাকে তাহলে তারা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে পারবে না। গ্যাস কোম্পানিগুলো লাভ করছে। তারপরও বেআইনি প্রস্তাবগুলো আমলে নিয়েছিলো বিইআরসি। বিদ্যুৎ খাতও মুনাফায় যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে থাকার পরেও কৃত্রিমভাবে ঘাটতি দেখানো হচ্ছে। বলা হয়, আগে যখনই তেলের দাম বেড়েছে, তখনই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন তেলের দাম কমছে, তাহলে এখন কেন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে? দাম ‍বাড়ানোর গণশুনানির দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে আদেশ দিতে হবে। কিন্তু সাত মাস পরে আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিইআরসি এটা করতে পারে না।