চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে আবারও শ্রমিক নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের বাশঁখালীর গÐামারায় নির্মাণাধীন এস আলম গ্রæপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে কর্মরত ৫ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এরআগেও এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণের সময় ২০১৬ সালের চৌঠা এপ্রিল পুলিশের গুলিতে ৫ জন শ্রমিক নিহত হন।
বকেয়া বেতন পরিশোধ, বেতন বাড়ানো ও শুক্রবার এক বেলা কাজ করাসহ ৪দফা দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিল। সেই বিক্ষোভ দমনে ডাকা হয় পুলিশ। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সেসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। কয়েকটি গাড়ি ও স্থাপনায় আগুন দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি করে। সে সময় রায়হান, আহমদ রেজা, রনি হোসেন, শুভ ও মো. রাহাতের মৃত্যু হয়। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
এঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে সাড়ে তিন হাজারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে আছেন শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ।
মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ, পবিত্র রমজান মাসে কর্মঘণ্টা ১০ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টা, শুক্রবার ৮ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৪ ঘণ্টা করাসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিদ্যুৎকেন্দ্র
নির্মাণকাজের শ্রমিকেরা।
এসব দাবি প্রত্যেকটাই যুক্তিসংগত। মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন আর দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করা শ্রমিকের অধিকার। আর সেই অধিকারের কথা বলতে গিয়ে প্রাণ দিতে হলো।
এখন বকেয়া বেতন তো দূরে থাক মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ঐসব শ্রমিক।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে এস আলম গ্রæপের মালিকানায় এসএস পাওয়ার প্লান্ট নামে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। চীনা প্রতিষ্ঠান সেফকো থ্রি পাওয়ার কনষ্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এখানে অর্থায়ন করেছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন।