চীনের নিউক্লিয়ার পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের সঙ্গে এক হতে আগ্রহী
চীনের সরকারি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ স্টেট নিউক্লিয়ার পাওয়ার টেকনোলজি (এসএনপিটিসি) চীনা পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের (সিপিআইসি) সঙ্গে একীভূত হতে চায়। এসএনপিটিসির এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
এসএনপিটিসির মুখপাত্র গুয়ো হংবো জানান, এ একত্রীকরণের পরিকল্পনা সুপারিশের জন্য এরই মধ্যে স্টেট কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হয়েছে। সিনহুয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে হংবো স্বীকার করেন, এসএনপিটিসির পক্ষে চীনের প্রথম এপি১০০০ প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিংহাউজ ইলেকট্রিক থেকে এই এপি১০০০ প্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। তিনি আরো স্বীকার করেন, প্রকল্পটি এখনো দুই বছর পিছিয়ে রয়েছে।
নিজেদের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এপি১০০০ প্রযুক্তি সংযোজনের উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালের মে মাসে এসএনপিটিসি গঠন করা হয়। ২০০৯ সালে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে অবস্থিত চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শুরু করে দেয়। এর মধ্যে জেচিয়াং প্রদেশের শানমেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নতুন প্রযুক্তিটির সংযোজন নির্ধারিত ২০১৫ সালে সম্পন্ন হবে না বলে জানিয়েছেন হংবো।
অনেকে ধারণা করছেন, গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক প্রযুক্তি হস্তান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের অনীহার কারণে এ কাজে দেরি হচ্ছে। তবে একত্রীকরণের পেছনে এটিকে কারণ হিসেবে দেখতে নারাজ হংবো। ২০১১ সালে ফুকুশিমায় পারমাণবিক দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার এ খাতে আরো নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই প্রকল্পটি শেষ হতে দেরি হচ্ছে বলে ব্যাখ্যা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা আর গুণগত মান সবার আগে। শুধু নির্ধারিত সময়ে শেষ করার জন্য আমরা এ দুটোকে বিসর্জন দিতে পারি না।’ সরকারি হিসাবে, গত বছরের শেষ নাগাদ চীনের মোট বিদ্যুৎ উত্পাদনের ২ দশমিক ১১ শতাংশ এসেছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে। বিপরীতে ৮০ দশমিক ৪ শতাংশ এসেছে তাপ বিদ্যুৎ এবং ১৫ শতাংশ এসেছে জলবিদ্যুৎ থেকে।