জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা ওপেকের

ইবি ডেস্ক:
আগামী মে ও জুলাইয়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়ে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল করার পরিকল্পনা করেছে ওপেকভূক্ত দেশগুলো। তবে জ্বালানি তেলের বাজার ২০২৩ সালের আগে স্বাভাবিক হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
খবর রয়টার্স ও এপি।
করোনার কারণে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে গেলে উত্তোলনও কমিয়ে দেয় তেল রফতানিকারক দেশগুলো।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী মে মাসে প্রতিদিন উত্তোলন বাড়াবে ২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল। জুন ও জুলাইয়ে যথাক্রমে সাড়ে তিন লাখ ও চার লাখ ব্যারেল। সৌদি আরব প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।
চাহিদা বাড়ার আগে উত্তোলন বাড়িয়ে দিলে জ্বালানি তেলের দাম কমে যেতে পারে। আবার উত্তোলন অনেক কমিয়ে ফেললে দেশগুলোর সার্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ে। কারণ তেল রফতানির ওপর এ দেশগুলোর অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অংশ নির্ভর করে।
বর্তমান বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। নিউইয়র্কে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ৫৬ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ব্রেন্টের দাম ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ৯৬ ডলারে।
ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি নতুন করে লকডাউন দেয়ায় ইউরোপের বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা কম। তবে চীনের বাজারে চাহিদা বাড়ছে।
কয়েক সপ্তাহ জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারের ওপরে। তাই জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ওপেক দেশগুলো।
গতবছরের এই সময়ের চেয়ে এখন জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে। সবদেশেই শিল্পকারখানা অনেকটা আগের মত চলতে থাকায় জ্বালানির চাহিদা বাড়তি। তবে পুরো চাহিদা আগের মত এখনও হয়নি।
খবর রয়টার্স।
প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের আগে বিশ্বে জ্বালানি তেলের চাহিদা করোনা মহামারীর আগের জায়গাতে ফিরবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বিশ্বে দৈনিক জ্বালানি তেল ব্যবহার ছিল ৯০ লাখ ব্যারেল। আর ২০২৩ সালে এই চাহিদা গড়ে এক কোটি ১০ লাখ ব্যারেলে পৌঁছতে পারে।
করোনা মহামারীতে যান চলাচল কম হওয়ায় তেলের ব্যবহারও কমে যায়।