তেল গ্যাস অনুসন্ধানে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা সই


তেল গ্যাস অনুসন্ধানে সহযোগিতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ-ভারত। জ্বালানিখাতে দ্বিমুখী বিনিয়োগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, যৌথ গবেষণা এবং সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে উভয় দেশ। এছাড়া বাণিজ্য ও কৃষিসহ মোট সাত খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
১৮ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে ঢাকায় এ সমঝোতা সই হয়।
ঢাকা-দিল্লি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক শক্তি রূপান্তর, উৎপাদন, গ্যাস এবং পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ এবং খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে সহযোগিতার সম্ভাব্য অন্যান্য উপায়গুলোও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
জ্বালানিখাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা আগে থেকেই আছে। ডিজেল আমাদনির জন্য পাইপলাইন নির্মাণ হচ্ছে, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কাজ করছে। অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি। ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ওএনজিসি ভিদেশ অগভীর সমুদ্রের ৪ এবং ৯ নম্বর ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করছে। পাঁচ হাজার ৮১ লাইন কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক জরিপ শেষ করেছে। আরও অনুসন্ধান কূপ খননের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এলপি গ্যাস পরিবহনে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে ভারত। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। রামপালে যৌথভাবে করছে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। এলএনজি সরবারহে সমঝোতা হয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এলপিজি সরবরাহ করা হচ্ছে। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করছে।
এসব বিষয়কে একক ফ্রেমের আওতায় আনতেই নতুন সমঝোতা হলো। এছাড়া ভারত বাংলাদেশে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করতে চায়। পাইপে চট্টগ্রাম পর্যন্ত জ্বালানি তেল সরবরাহে আগ্রহী।
এছাড়া নয়াদিল্লি জাদুঘরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সহযোগিতা, হাতির সুরক্ষায় অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা, হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালু, বাংলাদেশ-ভারত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফোরামের শর্তাবলী এবং বরিশালে স্যুয়ারেজ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় সমঝোতা হয়েছে।