দরপত্র ছাড়াই কেনাকাটার সময় বাড়ল চার বছর
দরপত্র ছাড়াই আরও চার বছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতের যেকোনো কেনাকাটা করা যাবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০’ সংশোধন করে এর মেয়াদ চার বছর বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই আইনের আওতায় কোন কোনাকাটার জবাবদীহিতা থাকবে না। আলোচনা বা দরকষাকষির করে যে কোন মাধ্যমে যে সকোন কেনাকাটা করতে পারবে। কেনাকাটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠদের বিচারের আওতায় আনা যাবে না।
২০১০ সালে প্রথম এই আইন করা হয়েছিল। গতকাল এই আইন আরও চার বছর অর্থাৎ ২০১৮ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে এ আইনটি খুবই কার্যকর। মন্ত্রিসভা এবার শুধু আইনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। নতুন কিছু যোগ করেনি বা বাদ দেয়নি।
আগামী ১১ অক্টোবর ওই আইনরে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগইে মেয়াদ বাড়ানো হলো।
এই আইনের আওতায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিদ্যুৎ কিনতে এ পর্যন্ত— ২০টি চুক্তি করেছে। ১৫ কুইক রেন্টাল ও পাঁচটি রেন্টাল কোম্পানির ২২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তি করে পিডিবি। এরমধ্যে ১৩ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর করে বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ১৫টি আইপিপি (ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্যান্ট) স্থাপনের চুক্তি করা হয়েছে।
জ্বালানিখাতে এই আইনের আওতায় রাশিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্যাস ক্ষেত্রর ১০টি উন্নয়ন কূপ খননের চুক্তি করে পেট্রোবাংলা। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) ৮টি চুক্তি করে। এরমধ্যে ২টি গ্যাস কম্প্রেসর এবং আশুগঞ্জ থেকে এলেঙ্গা, বাখরাবাদ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ভেড়ামারা থেকে খুলনা পর্যন্ত— তিনটি গ্যাস ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনের কাজ রয়েছে।
সর্বশেষ এই আইনের আওতায় চলতি বছর কক্সবাজারের মহেশখালীতে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এক্সট্রা অয়েল এন্ড এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে অনুসার করেছে পেট্রোবাংলা।