দুই বছরের মধ্যে শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস: নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। আবাসিক খাতের জন্য এলপিজি সহজলভ্য করা হচ্ছে।
বুধবার রেডিসন হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নিউ ইকনোমিক থিংকিং : বাংলাদেশ টু থাউজেন্ড থারটি এ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক সেমিনারের একটি সেশনে দেশের জ্বালানি অর্থনীতি নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে গ্যাস সরবরাহের ভিত্তি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বুয়েটের অধ্যাপক ড. ম. তামিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, মি সোল শেয়ার লিমিটেডের পরিচালক ড্যানিয়েল সিজানোভিস বক্তব্য রাখেন। আইএফসি এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার উইন্ডি জো ওয়ার্নার সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনডার্স হাসেলাজার।
তিনি বলেন, জ্বাালানির ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন ও যুগপোযোগি করার জন্য পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান-২০১০ পর্যলোচনা করে জাইকার সহযোগিতায় পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গ্রীন ও ক্লীন এনার্জির ব্যবহারকে উৎসাহিত করলেও আগামী ৩০ বছর গতানুগতিক জ্বালানির উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতা আরো বাড়ানো হবে। জল বিদ্যুৎ আমদানিতে আগামী দুই বছরের ভিতর দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় জ্বালানি নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে জ্বালানির অবদান, জ্বালানির অন্বেষণ ও সহযোগিতা নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেন।
ড. ম তামিম বলেন, দেশের জ্বালানি সংকট অনেক। এই সংকট মোকাবিলায় সরকারকে এখনই বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু এলএনজি নয় অন্য আরো জ্বালানির বিষয়েও ভাবতে হবে সরকারকে।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০৩০ সালের বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে হলে  নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভর না করে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে অভ্যন্তরীন সম্পদ এবং এসডিজি বাস্তবায়নে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পানি সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা, এসডিজি বাস্তবায়নসহ ৫টি বিষয়ের ওপর আলাদা আলাদা সেশনের দিনব্যাপী সেমিনার হয়। সেখানে এসডিজি বাস্তবায়নে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন অর্থনীতিবিদরা।