দুই মাসের মধ্যে এলপি গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রন হবে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে এলপি গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রনের উদ্যাগ নেয়া হবে।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত চতুর্থ ‘এশিয়ান এলপিজি সামিট সম্মেলন-২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
কোম্পানি ভেদে দামের কমবেশি বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলপি নিয়ে নীতিমালা করা হচ্ছে। আগামী দু’ মাসের মধ্যেই এই নীতি চূড়ান্ত হবে। তখন এই তারতম্য থাকবে না। তিনি বলেন, বাসাবাড়ি ও পরিবহন খাতে ব্যবহার করা গ্যাসের ২০ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা যদি এলপিজি ব্যবহার করি তাহলে ২০ শতাংশ সাশ্রয় হবে। তাই বর্তমান সরকার বাসাবাড়ি ও পরিবহন খাতে লপিজিকে প্রাধান্য দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতি দিন দিন বড় হচ্ছে, সেক্ষেত্রে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে। তাই কলকারখানা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ছাড়া অন্য সব খাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে এলপিজির ব্যবহার বাড়ানো হবে। দেশের ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই এখন আমাদের বিকল্প জ্বালানির কথা ভাবতে হবে।
এলপিজি উৎপাদনে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালমান এফ রহমান বলেন, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সরকার বাসাবাড়ি ও পরিবহন খাতে পাইপ এর গ্যাস ব্যবহারকারীদের নিরুৎসাহিত করছে। কারণ দেশে খুব অল্প প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ আছে। বাংলাদেশ যাতে জ্বালানি সংকটে না পড়ে সেজন্য বিকল্প জ্বালানির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এলপিজি আমদানি এখন অনেক বড় বড় কোম্পানি এগিয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক এলপিজি অ্যাসোসিয়েশন, অল ইভেন্ট গ্রুপ-সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই সামিট সম্মেলন শেষ হবে সোমবার।
এতে দেশি-বিদেশি ৬৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে; যারা মূলত এলপিজি বাজারজাত, সিলিন্ডার ও অন্যান্য খুচরা যন্ত্রাংশের উৎপাদক হিসেবে কাজ করছে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, বিশ্ব এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ডেভিড টালের, বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান, ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী ও ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের এজিএম তানজিন চৌধুরী।