দুর্যোগে অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় ত্রিমাত্রিক পরিকল্পনা করতে হবে। বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও দেশীয়। এই তিন অবস্থান থেকে পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করলে দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। দুর্যোগের কারণে সমগ্র অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন: সাংবাদিকদের ভুমিকা’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালা উদ্বোধনীতে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ। বিসিজেএফ সভাপতি কাওসার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ সচিব মেছবাহ উল আলম, সিডিএমপি-২ এর ডিএনপিডি শামসুল আলম, জলবায়ু বিশেজ্ঞ আব্দুল লতিফ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এ কিউ এম মাহাবুব, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ শওকত আলী মির্জা, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিসিজেএফ সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, ডিআরইউ প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমকাল পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল বাসার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোর কারণে বাংলাদেশে দুর্যোগের ঝুঁকি বেড়েছে। তাই উন্নত দেশগুলোর কাছে ভিক্ষা চাই না ক্ষতিপূরণ চাই।
সাংবাদিকদের কল্যাণে একটি বড় তহবিল গঠন হচ্ছে বলে তথ্যমন্পী জানান। তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ তহবিল গঠন করা হবে। এথেকে সাংবাদিকদের গৃহনির্মান, চিকিত্সাসহ বিভিন্ন খাতে খরচ করা হবে।
অনুষ্ঠানে হাসান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্তমান জনসংখ্যার মধ্যে তিন কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হবে। আর যখন দেশের মোট জনসংখ্যা ২৫ কোটি হবে তখন উদ্বাস্তুর সংখ্যা পাঁচ কোটিতে পৌছাবে। তিনি বলেন, প্রকৃতির বিরুদ্ধে ঢাকা তৈরী হয়েছে। আজ ঢাকায় যে সমস্যা তা আগামীতে পুরো দেশে হবে।