দেশে ৪০ লাখ বাড়িতে সোলার : শিল্পমন্ত্রী
বাংলাদেশে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পরিবহন ও শিল্প খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ৫ শতাংশে আনতে কাজ চলছে। জ্বালানি সাশ্রয় ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে এরই মধ্যে ৪০ লাখ বাড়িতে সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান শহরে ‘টেকসই শহরের জন্য সবুজ শিল্প’ শীর্ষক আলোচনায় এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। চতুর্থ সুবজ শিল্প সম্মেলন উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা, দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান মেট্রোপলিটন সিটি এবং কোরিয়ান আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা যৌথভাবে সম্মেলনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই নগরায়নে পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়ন প্রয়োজন। এ ধারা জোরদারে বিশ্ব সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা জরুরি। আগামী ২০৫০ সালে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ নগরে বসবাস করবে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য পরিবেশবান্ধব শিল্পপণ্যের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন দেশে সবুজ প্রযুক্তি স্থানান্তর করতে হবে।’
বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে শিল্প সমৃদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ্যে দূষণ রোধে কাজ করছে। বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, পরিবহন এবং শিল্প খাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে জ্বালানি সাশ্রয় ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে এরই মধ্যে ৪০ লাখ বাড়িতে সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। তা ছাড়া শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ক্লিনার প্রোডাকশন সিস্টেম চালুর পাশাপাশি সব শিল্পপার্ক ও ইপিজেডে গ্রিন সেল চালু করা হয়েছে।’
আমু বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলা করে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন ও পরিকল্পিত নগরায়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈরী প্রভাব মোকাবিলা করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উপকূলীয় এলাকায় পরিবেশ সুরক্ষা, সবুজবেষ্টনী স্থাপন, সামাজিক বনায়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্যানেল আলোচনায় বক্তারা শিল্প ও নগরের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক, দক্ষতা সম্পদ, সবুজ প্রযুক্তি এবং ইকো-উদ্ভাবনের বিষয়ে আলোচনা করেন। শিল্পোন্নত দেশগুলোর অতিমাত্রায় কার্বন দূষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে সম্মিলিত দাবি জোরদারের সুপারিশ করেন।
অনুষ্ঠানে আফগানিস্তানের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী হুমাউন রাশো, কম্বোডিয়ার শিল্প ও হস্তশিল্পমন্ত্রী চাম প্রাসিদ, ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য উপমন্ত্রী হুয়াং কুয়াক ভং, জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিলিপ স্কটসহ বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প উদ্যোক্তা, নগরবিদ, শিক্ষাবিদ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।