ধেয়ে আসছে সৌরঝড়

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ২০০৫ সালের পর সবচেয়ে বড় সৌরঝড়। সূর্যপৃষ্ঠে কয়েক দফা বড় ধরনের বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট এ সৌরঝড় শুরু হয়েছে গতরাতেই। এর ফলে পৃথিবীর স্যাটেলাইট যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিঘি্নত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার বিজ্ঞানীরা অতি উচ্চতার বিমান চলাচলের বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করার কথা জানান। এ ছাড়া মহাকাশচারীদের মহাকাশে না হাঁটার পরামর্শ দিওয়া হয়েছে।
চতুর্থ মাত্রার এ বিস্ফোরণের ফলে উত্তর গোলার্ধে সৃষ্ট উজ্জ্বল বর্ণিল আলোর বিচ্ছুরণ কয়েকদিন দেখা যাবে, যা নদার্ন লাইট নামেও পরিচিত। সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাড ও অস্ট্রেলিয়ার আকাশ থেকে এ মহাজাগতিক বর্ণচ্ছাটা দেখা গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, শক্তি ও ঘনত্বের কারণে এবার তা ছিল অনেক বেশি উজ্জ্বল।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফোরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া) জানিয়েছে, রোববার সূর্যে ব্যাপক বিস্ফোরণের কারণে শক্তিশালী এ ভূচৌম্বকীয় ঝড় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গতিতে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের দিকে এগিয়ে আসছে। নোয়ার মহাকাশ আবহাওয়া বিষয়ক পদার্থবিদ ডগ বিসেকার জানান, এ ঝড় একদিনেরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে। এতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিদ্যুৎ গ্রিড ও গ্গ্নোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএসে) এবং রেডিও যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
বিজ্ঞানীরা এই মহাজাগতিক ঘটনার ওপর তীক্ষষ্ট নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার মহাকাশ আবহাওয়াবিজ্ঞানী ড. রিচার্ড মার্শাল বলেন, ‘পৃথিবী এখন তার নয় বছরের সৌর আবহাওয়া চক্রের চূড়ায় রয়েছে, যে কারণে আলোক বিচ্ছুরণ অতি উজ্জ্বল। তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে সূর্যে তিনটি বিস্ফোরণ হয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট চৌম্বকীয় ঝড় এখনও চলছে।