নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের জ্বালানি বিনিময় বাড়ছে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি বিনিময় সম্পর্ক আরও বাড়ছে। ভারতের সাথে জ্বালানি বিনিময়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বাড়ানো হবে। এসময় দ্বিপাক্ষিক চলমান আলোচনায় থাকা বিষয়গুলো চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির সাথে আলোচ্যসূচিতে বিদ্যুৎ জ্বালানির বিষয়টি অন্যতম বিষয় হিসাবে রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভারত থেকে এখন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এর বাইরে আরও বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুতের আন্তঃসংযোগ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এজন্য উচ্চ ক্ষমতার ৮০০ কেভি মাল্টি টার্মিনাল এইচভিডিসি বাই-পোল সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। ভারত উত্তরাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশের উপর দিয়ে এই সঞ্চালন লাইন নিয়ে যাবে। এপথে ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এই সঞ্চালন লাইন করতে করিডোর দিতে সম্মত হয়েছে। এই ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে আরও দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশ নিতে চাই।বহরমপুর (ভারত)-ভেড়ামারা (বাংলাদেশ) গ্রিড আন্ত:সংযোগ এর ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানী করা হবে। এছাড়া ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং বহরমপুর-ভেড়ামারা বর্তমান লাইনের মাধ্যমে ভারতের বিদ্যুৎ বাজার থেকে আরও ৩০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানী করা হবে। এছাড়া ভারত থেকে পাইপ লাইনে গ্যাস আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভারতীয় বেসরকারি একাধিক কোম্পানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এছাড়া বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানির সাথে যৌথভাবেও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এবিষয়গুলো নিয়ে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় চূড়ান্ত পর্যায়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রায় এক হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে। এরমধ্যে ৫০০ এখনই আনা হচ্ছে। পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চলতি বছরের মধ্যে ১০০ মেগাওয়াট আনা হবে। বাকী অন্য বিষয়গুলো আলোচনার মধ্যে আছে।
বাংলাদেশ ভারত যৌথভাবে রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে। মহেশখালিতে আরও একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র একইভাবে করতে ইচ্ছুক। এছাড়াও নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানীর বিষয়ে আলোচনা হবে। এবিষয়ে ভারত ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে করিডোর দিতে সম্মত হয়েছে।