ন্যাশনাল গ্যাস অ্যাফিসিয়েন্সি প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় ৮৬৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ‘ন্যাশনাল গ্যাস অ্যাফিসিয়েন্সি’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। জাপানি উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)’র আর্থিক সহায়তায় গৃহীত এ প্রকল্পটি একনেক অনুমোদন করেছে। গ্যাসের চাপ বাড়াতে দু’টি গ্যাস ফিল্ডে মোট ৬টি ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপনই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। মঙ্গলবার একনেক’র এক সভায় এটি অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিমিটেড এ প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ বাস্তবায়িত করবে।
মোট ৭ হাজার ১৭ কোটি টাকার মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয় একনেক সভায়। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয়ের দুই হাজার ১৭৬ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে ২৪ কোটি দেয়া হবে। প্রকল্প সাহায্য হিসেবে চার হাজার ৮১৭ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি ভবনে অনুষ্ঠিত একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
অনুমোদিত মোট ১১টি প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প ১০টি এবং সংশোধিত প্রকল্প একটি রয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে তিতাস ও নরসিংদী গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাসের চাপ দিন দিন কমে আসছে। এর ফলে এদুটো গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস উৎপাদন ও জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। গ্যাসের চাপ এভাবে কমতে থাকলে আগামী তিন থেকে সাত বছরের মধ্যে এদুটি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিড লাইনের চাপের সাথে তাল মিলিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এ সমস্যার সমাধান পেতে এদুটো গ্যাসফিল্ডে মোট ৬টি ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপন করবে সরকার। ফলে গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি পাবে এবং উৎপাদন ও সরবরাহ বেড়ে যাবে। কম্প্রেসার স্থাপনের জন্যই ৮৬৮ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি একনেক অনমোদন করেছে।
এদিকে, গ্যাসের অপচয় ও সিস্টেমলস ঠেকাতে এখন থেকে সব গ্যাস সংযোগ প্রি-পেইড মিটার ভিত্তিক করা হচ্ছে। এ সম্পর্কিত ন্যাচারাল গ্যাস এনার্জি এ্যফিসিয়েন্সি প্রকল্প নামে অপর একটি প্রকল্পের আজকের একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় দু’ধাপে মোট ৬০,০০০ গৃহস্থালী প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে। এতে করে গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।