মিটার রিডারদের চুক্তি থেকে মুক্তির দাবি
পল্লী বিদ্যুতের চুক্তিভিত্তিক ২০ হাজার মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের চুক্তি থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ চুক্তিভিত্তিক মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার ঐক্য পরিষদ।
বাংলাদেশের শ্রম আইন মোতাবেক চলতি বছরের ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি না মানা হলে ১ সেপ্টেম্বরে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলেও জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, দেশের ৭৩টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে প্রায় ২০ হাজার মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার দীর্ঘ দিন চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব পালন করে আসছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কাগজ-কলমে শ্রমিকদের বেতন সাত হাজার টাকা দেখানো হলেও মূলত বেতন দেয়া হয় মাত্র পাঁচ হাজার টাকা।
বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা হয় এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের ওপর অমানবিক আচরণ করা হয়। দিন রাত পরিশ্রমের পরও চাকরি থেকে হঠাৎ করেই তাদের বাদ দেয়া হয়।
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বর্তমানে একজন স্থায়ী ম্যাসেঞ্জারের বেতন চুক্তিভিত্তিক মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারের বেতনের দ্বিগুন হলেও কাজের পরিমাণ সমান। স্থায়ীরা কর্মরত অবস্থায় মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার নিহত বা আহত হলে তাদের আর্থিক সহায়তা করা হয়। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের ক্ষেত্রে তা করা হয় না।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, একজন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারের প্রয়োজনীয় ছুটি মঞ্জুর করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তার মোবাইলে ফ্লেক্সি লোড দিতে হয়। না দিলে ছুটি মঞ্জুর হয় না। এসব বিষয়ে মুখ খোলা যায় না।
বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মচারী হলো মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার। চাকরির শুরুতে প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা জামানত রাখা হয়। চাকরির মেয়াদ তিন বছর পার হলে পাঁচ হাজার টাকা জামানত রাখা হয়। কিন্তু কোনো কারণে চাকরিচ্যুত করা হলে জামানতের টাকা ফেরত দেয়া হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বাবলুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম, মো. সালাউদ্দিন লাভলু, মো. পলাশ, নওশিন, আজাদ, মো. ওবায়দুল প্রমুখ।