পাঁচ বছরে ঢাকায় বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে। আগে বিল শোধ করে পরে বিদ্যুত্ ব্যবহার করতে হবে। এরফলে আর লাইনে দাঁড়িয়ে বিদ্যুত্ বিল শোধ করার প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে পুরো প্রত্রিয়া ডিজিটালাইড করার জন্য ই-ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং এবং ব্যাংকে বিশেষ বুধ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) নজরুল হাসান বলেন, গ্রাহকদের সেবা বাড়াতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বিল শোধ করতে ঝামেলা অনেক কমে যাবে। আধুনিক ব্যবস্থায় তাদের সময় কমে যাবে। গ্রাহক সেবা সহজ এবং উপভোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষে এই কাজ করা হচ্ছে। এই সেবার মান পর্যায়ত্রক্রমে আরো বাড়ানো হবে।
অনলাইনে বিদ্যুত্ বিল শোধ করতে নতুন করে ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে চুক্তি করল ডিপিডিসি। বুধবার ডিপিডিসি কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এসময় ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল হাসান, ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমানসহ উদর্ব্দতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, ২২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার আজিমপুর এলাকায় পাঁচ হাজার প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় আরো প্রায় এক লাখ ৪৫ হাজার মিটার বসানো হবে। যার জন্য আরো পাঁচটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ডিপিডিসি ই-ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ১০ শতাংশ, অনলাইনের মাধ্যমে সাত শতাংশ এবং ব্যাংকে বিশেষ বুথের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ গ্রাহককে সহজ সেবা দেয়া হচ্ছে। এর সমপ্রসারন কাজ চলছে। খুব দ্রুত সকল গ্রাহককে এই সেবার আওতায় আনা হবে। ডিপিডিসির নিজস্ব তহবিল, সরকারি খাত, জার্মানির কেএফডবি¬উ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর আর্থিক সহযোগিতা এই প্রকল্কপ্প বাস্ট্লবায়ন করা হচ্ছে।
নজরুল হাসান সামপ্রতিক সময়ে ডিপিডিসি এলাকায় লোডশেডিং এর কথা স্বীকার করে বলেন, মেঘনাঘাট বিদ্যুত্ কেন্দ্র বল্পব্দ হয়ে যাওয়ায় ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ ঘাটতি নতুন করে যুক্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে পিজিসিবি’র যান্পিক ত্রুটি থাকায় গত দুদিন আগে ১০০ মেগাওয়াটের সংকট ছিল। সেই সঙ্গে নগর জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় ফ্লাইওভার, ওয়াসার পয়নিস্কাশন ও অন্য সংস্থার কার্যত্রক্রম চালু থাকায় ডিপিডিসির মাটির নিচে লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে ডিপিডিসি গ্রাহকদের বিদ্যুত্ বিভ্রাটে পড়তে হয়েছে। আশা করছি তাড়াতাড়ি এটা ঠিক হয়ে যাবে।