পূর্বাচলে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার

রাজধানির উপকন্ঠে রাজউকের পহৃর্বাচল এলাকায় নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। এতে ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখান থেকে প্রতিদিন এক কোটি থেকে এক কোটি ২০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। গ্যাস তোলা যাবে ১০ থেকে ১৫ বছর।
গতকাল শনিবার দুপুর একটা তিন মিনিটে রাজউকের পূর্বাচলের আবাসিক এলাকায় রূপগঞ্জ এক নম্বর কূপ থেকে গ্যাস তুলে মজুদের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এখানে যে গ্যাস মজুদ আছে তার বর্তমান বাজার মূল্য এক হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। তিন হাজার ২২৯ থেকে তিন হাজার ৩৩৫ মিটার মাটির নিচে এই গ্যাস আবিস্কার করেছে দেশীয় অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্স।
বাপেক্স সূত্র জানায়, পহৃর্বাচলের (রূপগঞ্জ) গ্যসেক্ষেত্রের যেখানে গ্যাস পাওয়া গেছে সেখান থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে জাতীয় সঞ্চালণ লাইন আছে। আরো দুএক দিন গ্যাসের চাপ পরীক্ষা করা হবে। তারপর সঞ্চালন লাইন করে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
আয়তনে অনেক ছোট হলেও এই ক্ষেত্র থেকে অর্থনৈতিকভাবে গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বাপেক্স কর্মকর্তারা। তবে বিদেশী কোম্পানি এমন মজুদ আবিষ্কার করলে তা অর্থনৈতিকভাবে উত্তোলনযোগ্য হতো না বলে জানিয়েছেন সংশ্রিষ্ঠ সূত্র।
মহাজোট সরকারের সময় আবিস্কৃত তৃতীয় গ্যাস ক্ষেত্র এটি। এরআগে মহাজোট সরকারের সময় সুন্দলপুর ও শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কার হয়েছে। দেশের ২৬ তম গ্যাস ক্ষেত্র এটি।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর বলেন, রূপগঞ্জে ২০১০ সালে দ্বিমাত্রিক জরিপ করার পরিকল্পনা করা হয়। রাজউকের কাছ থেকে তিন একর জায়গা নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়। ২৫শে ফেব্রুয়ারি এখানে গ্যাস কূপ খনন শুরু হয়। ৩১শে মে কূপ খনন কাজ শেষ হয়েছে। এই সরকারের একটি বড় অর্জন। এতে ঢাকা ও এর আশেপাশের গ্যাসের সংকট কিছুটা হলেও কমবে। তিনি বলেন, গ্যাসক্ষেত্র থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে হবে। নকশা তৈরি, জমি অধিগ্রহণ, কারিগরি পর্যালোচনা করে যন্ত্রাংশ কিনে পাইিপ স্থাপনের কাজ শেষ করে গ্যাস সরবরাহ করতে আরো চার পাঁচ মাস লাগবে। চলতি বছরের শেষে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এখানে প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র বসানোর কাজ শেষ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে মানুষেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সুন্দর পরিবেশ দেয়। বাপেক্সকে সক্রিয় করার ফলে আজ ফল পাওয়া যাচ্ছে।