পেট্রোলিয়াম আইনে শাস্তির মাত্রা বাড়ছে

আইন লঙ্ঘনে শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে নতুন পেট্রোলিয়াম আইন করতে যাচ্ছে সরকার। সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে পেট্রোলিয়াম আইন-২০১৫ এর চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, পেট্রোলিয়াম আইনটি ১৯৩৪ সালের, সামরিক শাসনামলে ১৯৮৬ সালে এ আইন সংশোধন করা হয়। সেই অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে এ আইন নিয়ে আসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহন এ আইনের আওতায় বিধিমালা দিয়ে পরিচালিত হবে। পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহনে কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার সংবাদ না দিলে বিদ্যমান আইনে ৩ মাস পর্যন্ত জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

নতুন আইনে ৬ মাস পর্যন্ত জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। একই অপরাধ পুনরায় করে শাস্তির মাত্রা দ্বিগুণ হবে বলে জানান তিনি।

মোশাররাফ বলেন, পেট্রোলিয়াম উৎপাদন, শোধন, মিশ্রণ, রিসাইক্লিনের মাধ্যমে পুনঃব্যবহার ইত্যাদি বিধিমালা অনুসরণ করতে হবে। পেট্রোলিয়াম কন্টেইনারে সতর্কবাণী দিতে হবে।
অথরাইজ অফিসারদের পেট্রোলিয়াম নমুনা সংগ্রহ, পরিবীক্ষণ সনদ দেওয়ার বিষয়টি আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহন, বিতরণ, শোধনে কেউ যদি আইনের লঙ্ঘন করে তাহলে শাস্তির বিধান আইনে রয়েছে এবং অথরাইজ অফিসারদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহনে স্থানে অনুসন্ধান এবং জব্দ করতে।

বিদ্যমান আইনে পেট্রোলিয়াম দুই শ্রেণিভুক্ত, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি। নতুন আইনে আরেকটি শ্রেণি করা হচ্ছে বলে জানান সচিব।

হিটিং ভ্যালু হিসাব করে এই শ্রেণি করা হয়, যার হিটিং ভ্যালু বেশি তা হল প্রথম শ্রেণি বলে তিনি জানান।