পেট্রোল পাম্পে ঝটিকা অভিযান: ভেজাল পেলে ডিলারশিপ বাতিল
পেট্রোল পাম্পে ঝটিকা অভিযান করলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ভেজাল পেলেন না। তবে অকটেনে মান কম পেলেন। তাও সরকারি পেট্রোল পাম্পে। আর যথাযথ মান পেলেন পেট্রোলে।
তবে গ্রাহকরা অভিযোগ করলেন, এই একটি পাম্পে তেল ভাল পেলেও রাজধানির অন্য কোথাও এমন পাওয়া যায় না।
আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরের পর প্রতিমন্ত্রী পরীবাগের সরকারি পেট্রোল পাম্প মেঘনা মডেল পাম্পে এই ঝটিকা অভিযানে যান। তিনি গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন। ঘুরে ঘুরে পাম্পের সকল কার্যক্রম দেখেন।
পেট্রোল পরীক্ষা করে যাওয়া গেল এর মানমাত্রা রিসার্স অকটেন নাম্বার (আরওএন) ৮৬ দশমিক ৮৪। পেট্রোলে পাওয়া গেল ৯৩ দশমিক ০৯। তেল পরীক্ষাকারী প্রকৌশলী আমিত এনার্জি
বাংলাকে জানান, পেট্রোলে আরওএন ৮৫ হলেই ভাল। সে ক্ষেত্রে এখানে পেট্রোল ভাল আছে। তবে অকটেনে আরওএন ৯৫ থাকলে ভাল হতো। অকটেনে আরওএন পাওয়া গেছে ৯৩ দশমিক ০৯। তবে এটা সহনীয়।
আজ সকালে ফতুল্লা ডিপো থেকে আসা এক লরি অকটেন পাম্পে আসলে পরীক্ষা করেছেন এখানেরই অপারেটর আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বললেন, লরিতে যতাযথ মাপের তেল আছে। মান পরীক্ষা করা হয়েছে। সেটাও ঠিক আছে। কোন সমস্যা নেই।
মোটর সাইকেলে তের নিতে আসা ওয়ান্ড ইউনিভারসিটির প্রভাষক উজ্জল বড়ুয়া জানান, রাজধানির শুধু এই পাম্পেই ভাল তেল পাওয়া যায়। অন্য পাম্পে ভেজাল বোঝা যায়। তবে এখানে মাপে কম দিচ্ছে কিনা তা বোঝার কোন উপায় আমাদের কাছে নেই। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার জোবায়ের সরওয়ার বলেন, সন্ধ্যার পর তেল নিলে ভেজাল পাওয়া যায়। ময়লা থাকে। তবে সকালের দিকে নিলে পরিস্কার পাওয়া যায়। ওজনে কম হচ্ছে কিনা তা বোঝা যায় না বলে তিনি জানান।
পাম্প দেখার পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পেট্রোল পাম্পে ভেজাল বিরোধি অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকারি পাম্প দিয়ে এই অভিযান শুরু করা হল। অন্য পাম্পেও যাব।আগামী তিন মাস এক টানা অভিযান চালানো হবে। সকল মহাসড়কেরে পেট্রোল পাম্পে অভিযান চালানো হবে। সরকারি বেসরকারি কোনটা বাদ দেয়া হবে না।
এই পাম্পে যে তেল পাওয়া গেল তা ভালই। তিনি বলেন, কোন পাম্পে ভেজাল পেলে সাত দিনের মধ্যে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। জেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। ভেজাল দেয়া কার্যক্রমের মধ্যে সরকারি কোন কর্মকর্তা থাকলে তার বিরেুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।