বাংলাদেশ চাইলে ভারত আরও বিদ্যুৎ দেবে: মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কিনতে চাইলে ভারত তার অতিরিক্ত উৎপাদন থেকে আরো বিদ্যুৎ দেবে। সোমবার ত্রিপুরার পালাটানায় ৭২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে মোদি এ কথা বলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সহযোগিতা না করলে এই বিশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা খুব দুরূহ হতো। এ জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানান। দশ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ের মাধ্যমে এই ৭২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ভারত বংলাদেশের কাছে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক -ই-এলাহী চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত সহযোগিতা পালানা বিশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে এই অঞ্চলের উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, আমরা দুটি দেশ মিলে যদি এই ধরনের একটি বড় প্রকল্প নির্মাণ করতে সক্ষম হই তাহলে সার্কের সকল দেশ মিলে আরো অনেক বড় কাজ করতে পারবো। এ সময় নরেন্দ্র মোদি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের জ্বালানি, বিদ্যুৎ, শিল্প, পর্যটন, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের নেয়া অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এই উত্তর-পূর্ব অঞ্চল হবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবেশ পথ।
প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনার জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক এলাহি চৌধুরী বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। শিগগির আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবো বলে আশা করছি। তিনি পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যৌথভাবে কাজ করতে চাই। তিনি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানান।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার সহযোগিতা ছাড়া এই ভারী ভারী যন্ত্র এনে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা সম্ভব হতো না। এই অঞ্চলের উন্নয়নের সাথে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের আরো উন্নয়নের তাগিত দিয়ে তিনি বলেন, ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর এবং আশুগঞ্জ বন্দর ভারত ব্যবহার করতে পারে। সে জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য অনুরোধ করেন।
মানিক সরকার বলেন, আমি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উপদেষ্টা এবং মন্ত্রিসভার সদস্যকে পাঠিয়েছেন এজন্য তাকে ধন্যবাদ। সূত্র: বাসস