বাংলাদেশ-নেপাল মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বিদ্যুৎ আদান-প্রদান নিয়ে আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ-নেপাল মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আদান-প্রদান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুই দেশের মধ্যে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং নেপালের পক্ষে সে দেশের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রী পাম্পা ভুসাল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
নসরুল হামিদ বলেন, গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে নেপালের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ আমরা আমদানি করতে পারি। আবার শীত মৌসুমে যখন তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায় তখন আমাদের দেশ থেকে তারা বিদ্যুৎ নিলে দুই দেশই লাভবান হবে।
গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে নেপালের জলবিদ্যুৎ সক্ষমতা দাঁড়ায় ৪৩ হাজার মেগাওয়াট।
পাম্পা ভুসাল নেপালের জলবিদ্যুতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগতে বাংলাদেশকে সেদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে নসরুল হামিদ বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। রূপকল্প ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নবায়ানযোগ্য জ্বালানি ও ক্লিন এনার্জি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও ভুটানের সহযোগিতা নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। ভুটান থেকে জল বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো: হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, নেপালের জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. সুরেন্দ্র লাব কারনা, নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবেন্দ্র কারকিসহ অন্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।