বাঘসহ সব প্রাণী রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশ মন্ত্রী
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, একটি জনবহুল দেশে বন এবং বন্যপ্রাণী রক্ষা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পরিবেশ রক্ষায় বাঘসহ সব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর মাত্র ১৩টি দেশে বাঘের অস্তিত্ব রয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তাই বাঘ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব বাঘ দিবস-২০১৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম এ হান্নান, টাইগার কনজারভেশন প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক অপরূপ চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. জোহান্স জাট প্রমুখ।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের মতো একটি বন সৃষ্টিকর্তা আমাদের দিয়েছেন। এটি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। এজন্য আমাদেরকে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী রক্ষায় বিশ্বব্যাংক এবং ইউএসএইড এর মতো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অন্য দাতাদেশ ও সংস্থাও বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী রক্ষায় এগিয়ে আসবে।
উপ মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষায় বাঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাঘ রক্ষায় সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। সুন্দরবন রক্ষায় সরকার এলাকার জনগণকে সম্পৃক্ত করেছে। তাই সবার আগে দরকার জনসচেতনতা।
জোহানস জাট বলেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় বাংলাদেশের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আঞ্চলিক দেশগুলোর সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে বন্যপ্রাণী রক্ষায় বিশেষ কাজে আসবে। বাঘ রক্ষায় সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
এর আগে ‘বাঘ আমাদের জাতীয় গৌরব’ শ্লোগানকে সামনে রেখে দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে বাঘের নানা ফেস্টুন, ছবি নিয়ে র্যালি করা হয়। পরে র্যালীটি ওসমানী মিলনায়তন চত্বরে এসে শেষ হয়।