বিদ্যুতের আশায় ছিটমহলবাসী

ছিটমহলগুলোতে বিদ্যুৎ আসবে, এমন আশায় বুক বেধেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহারের ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহলের বাসিন্দারা। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর গত সাত দশক ধরে বিদ্যুৎহীন তারা। এখনো হারিকেন আর কুপিবাতিই তাদের ভরসা।
এই ৫১টি ছিটমহলে ১৪ হাজার ২২১ জন বাংলাদেশির বাস। আজ শনিবার সকালে কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার বাত্রিগাছ, শিবপ্রসাদ মুসতাফি, করলা এবং কিমমত ছিটমহলে গেলে ছিটমহলবাসীদের অনেকেই বিদ্যুৎ নিয়ে তাদের এ দুঃখের কথা বলেন। তারা বলেন, ৬৮ বছর আগে ভারত স্বাধীন হয়েছে। এত বছরেও বাংলাদেশ কিংবা ভারত সরকার কেউ তাদের বিদ্যুৎ দেয়নি। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে নিত্যদিনের সকল কাজই চলে হারিকেন ও কুপিবাতির আলোয়।
তবে এবার ছিটমহল বিনিময়ের খবরে আশায় বুক বেধেছেন তাঁরা। ছিটমহলের বাসিন্দা আবুল হোসেন, মুহাম্মদ আলি মিয়া, রফিকুল ইসলাম, রৌশন সরদার, আলাউদ্দিন মিয়া, পারুল বর্মণ, রিংকু বর্মণ সেই কথাই শোনালেন। তাঁরা বলেন, তাঁরা রাতের অন্ধকারে অজানা আতঙ্কে ভোগেন। কখন কী ঘটে, সেই আতঙ্ক নিয়ে রাত কাটে। রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার আমরা স্বাধীন হতে যাচ্ছি। এবার বাড়িতে আলো জ্বলবে। ইলেকট্রিক আলো জ্বলবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা সেই আলোতে পড়াশোনা করবে। আমরা টেলিভিশন দেখতে পারব। রান্নার গ্যাস আসবে বাড়িতে।’
শিবপ্রসাদ মুসতাফি ছিটমহলের দুই গৃহবধূ বলেন, বিয়ের পর তাঁরা ছিটমহলের বাসিন্দা হওয়ার কথা জানতে পারেন। তাঁরা বলেন, এখানে আলো নেই। রেশনকার্ড নেই। নেই ভোটার কার্ডও। তবে আজ সেই দুঃখ কেটে গেছে। ছিটমহল স্বাধীন হচ্ছে। ফলে তাঁরা আবার নতুন করে বাঁচতে শুরু করবেন।