বিদ্যুতের দাম কমাতে চার কৌশল অবলম্বনের পরামর্শ সিপিডির
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুতের দাম এবং ভর্তুকি কমাতে চার কৌশল অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সরকার বন্ধ করে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল সেগুলো সময়মতো বন্ধ করা; নতুন কেন্দ্রে ‘বিদ্যুৎ নেই অর্থ নেই’ ভিত্তিতে চুক্তি করা; অল্প বিদ্যুতের দাম বাড়ানো এবং পর্যায়ক্রমে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়া।
সিপিডি জানিয়েছে, এই চারটে কাজ করলে ২০২৯ সালের পর আর সরকারকে ভর্তুকি দেয়া লাগবে না। সাধারণ মানুষও সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ পাবে।
বুধবার সিপিডি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কৌশল উপস্থাপন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রভাব নিয়ে গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন।
খন্দকার মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানির যে বিশেষ আইন আছে তা এখনই রহিত করা প্রয়োজন। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দিলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কম হবে।
পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি সমন্বয়ে সরকার যে পরিকল্পনা করেছে তা ঘোষণার দাবি করেন তিনি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিদ্যুতের চাহিদার যে প্রক্ষেপণ তা ঠিক নয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম বাড়ানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক।