বিদ্যুৎ বিপর্যয়: তদন্ত করেছে ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ তদন্ত করে গেলেন ভারতীয় বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ। ভেড়ামারা আন্তঃদেশীয় গ্রিড সাবস্টেশন এবং ঢাকার জাতীয় ডেসপ্যাচ সেন্টার (এনএলডিসি) পরিদর্শন করেছেন। তিনি গ্রিড বিপর্যয়ের দিন এই দুই স্থানের প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) সূত্র জানায়, ভারত পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের একজন উচ্চ পদস্থ প্রকৌশলী বাংলাদেশ পরিদর্শন করেছেন। তিনি কারণ অনুসন্ধান করে চলে গেছেন। তবে কি কারণে সে দিন গ্রিড বিপর্যয় হয়েছিল তা তিনি জানাননি। ভারতে তিনি তার প্রতিবেদন দাখিল করবেন। বাংলাদেশ পরিদর্শনের সময় তিনি ভেড়ামারা আন্তঃদেশীয় সাবস্টেশন এবং এনএলডিসি’র কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করেছেন। এছাড়া কতর্ব্যরত কর্মকর্তাদের সাথেও পর্যালোচনা করেন। ব্যক্তি গাফিলতি আর কারিগরি ত্রুটি – দুটো বিষয়ই তিনি পর্যালোচনা করেছেন।
এদিকে বাড়তি সময় নিয়েও প্রতিবেদন দিতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে করা তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আরও সময় নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। প্রাথমিক প্রতিবেদন দেয়া হয়েছিল ৬ নভেম্বর। সে সময় নির্দিষ্ট কোন কারণ বলা হয়নি। পুরো প্রতিবেদন পেতে আরও ১০ কার্যদিবস সময় নিয়েছিল কমিটি।
কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত সচিব ড. কায়কাউস  রোববার জানান, নিদিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন দেয়া হবে। তদন্ত চলছে।
কমিটির একজন সদস্য জানান, নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব হবে না। আরও কয়েক দিন সময় প্রয়োজন হতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কাজ চলছে।
১লা নভেম্বর জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে সারাদেশে এক টানা প্রায় ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে করা তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলেছিল, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরে ভেড়ামারার ওপাশে বহরমপুরে যে দুটো বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন আছে তার একটি বিকল হয়ে যায়। আর বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন কারণেই সেদিন বিদ্যুৎ
বিপর্যয় হয়েছে। কিন্তু কেন, কোথায়, কি সমস্যা হয়েছিল তা বলা হয়নি।