বিদ্যুৎ সঞ্চালন, বিতরণ ও সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন, বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং উৎপাদনে গুরুত্ব দেয়া হবে। বাজেটে বরাদ্দ থাকবে ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) ‘আসন্ন জাতীয় বাজেট ২০২১-২২, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন ব্যবস্থা টেকসই করতে দ্রুতই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি। ২০০৯-১০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) তে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৬৪৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ২৪ হাজার ৭৬৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগামী বাজেটে বিদ্যুৎ বিভাগ ২৬ হাজার ১১৮ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা পেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ক্রয় ও বিক্রয়ে ১ দশমিক ১৬ টাকা ঘাটতি। পিডিবিকে দক্ষতার সঙ্গে এ ঘাটতি কমিয়ে আনতে হবে এবং ধীরে ধীরে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। বছরে ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার যে ঘাটতি হয়, সেটা কমিয়ে আনতে হবে।
ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসেসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাম্মেল হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন ফি, অগ্রিম কর, এইচএফওর ওপর ৩৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক, বিলম্বে বিল প্রদান, পরিবেশগত সনদপত্র, স্টোরেজ ট্যাংকের ভাড়া ইত্যাদি বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, আইপিপিতে গত বছর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়েছে ৭ টাকা, রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের খরচ পড়েছে ৮ টাকা ৩৪ টাকা এবং ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে খরচ পড়েছে ৬ দশমিক ১ টাকা।
বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে বিল পরিশোধ করা হচ্ছে না। বিলম্বে বিল পরিশোধ না করায় উদ্যোক্তাদের সমস্যা হচ্ছে। অমীমাংসিত বিষয়গুলো দেখার কথা বিইআরসির ট্রাইব্যুনালের। কিন্তু বিইআরসি যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই হিটওয়েভে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। এটি বিশাল স্বস্তির খবর।
পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন বলেন, দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে আইপিপি থেকে বিদ্যুৎ নেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর এগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। এখন এগুলো চালু রাখতে বলা অযৌক্তিক।
এফইআরবি চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকারের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক শামীম জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিআইপিপিএ সভাপতি ইমরান করিম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনসহ অন্যরা অন্যরা বক্তব্য রাখেন।