বিপিসির ধার শোধ হলে প্রয়োজনে তেলের দাম কমানো হবে: প্রধানমন্ত্রী

বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ধার-দেনা শোধ হলে প্রয়োজনে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে। বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

ভর্তুকি দিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি করতে গিয়ে বিপিসির ঋণের ১৫-১৬ হাজার কোটি টাকা শোধ করা এখনও বাকি আছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দর বেড়ে ১২২ ডলারে ওঠার পর বাংলাদেশেও দাম বাড়ানো হয়। সেই হারে বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এরপর গত দুই বছর ধরে জ্বালানি তেলের দাম পড়তে পড়তে ৪০ ডলারের নিচে নামলেও দাম সমন্বয় করেনি সরকার।

তেলের দাম না কমানোর পক্ষে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) এতদিনের লোকসান তুলে আনার যুক্তি সরকারের পক্ষ থেকে দেখানো হচ্ছে।

বুধবার সংসদে হাজি সেলিমের এক প্রশ্নের উত্তরেও একই প্রসঙ্গ তোলেন সরকার প্রধান হাসিনা।

হাজি সেলিম দাম কমানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছিলেন, তেলের দাম কমানো হলে মানুষ গ্যাস ব্যবহার করবে না। তখন গ্যাস শিল্পে দেওয়া যাবে।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন বিশ্ববাজারে ডিজেলের দাম অতিরিক্ত ছিল, তখন আমরা সাবসিডি দিয়ে ডিজেল বিক্রি করেছি। যার ফলে আমাদের পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের হাজার হাজার কোটি টাকা লোন হয়ে গেছে। তখন তো কেউ বলেননি, আমরাও ডিজেলের দাম বাড়াই।

“এই সময় এই বোধহয় কিছুটা আমরা সাশ্রয় করতে পারছি। এখন পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন আয় করে লোন শোধ করছে। ৩৮ হাজার কোটি টাকা লোন, ইতোমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা লোন শোধ করা হয়েছে এবং আরও শোধ করতে হবে। এছাড়া ভ্যাট, ট্যাক্সও রয়েছে সেগুলোও পরিশোধ করতে হবে। প্রায় ১৫/১৬ হাজার কোটি টাকা শোধ করতে হবে।”

“এতদিন যে আমরা ডিজেল কেনার জন্য ভর্তুকি দিলাম, লোন নেওয়া হল, সেগুলো আগে শোধ করে দেব। অর্থ্যাৎ ধার দেনা শোধ করার পরে প্রয়োজন হলে আমরা দাম কমাব,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।