বিপিসি ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মধ্যে পাইপলাইন নির্মাণ চুক্তি
নারায়ণগঞ্জের পিতলগনঞ্জ থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে “কুর্মিটোলা এভিয়েশন ডিপোতে” উড়োজাহজের জ্বালানি তেল পরিবহনে (জেট এ-১) ১৬ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
আজ বুধবার এজন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মধ্যে চুক্তি হয়েছে।
পুরো প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২২৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। নির্মাণকাজের জন্য নৌবাহিনী পাবে ১৮৩ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের নভেম্বরের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।
ঢাকায় বিপিসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন, বিপিসির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহসহ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বিপিসি, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিঃ এবং নৌবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) মুস্তফা কুদরত এ ইলাহী ও নৌবাহিনীর পে কমান্ডার আবদুস সামাদ চুক্তিতে সই করেন।
বিপিসি জানায়, উড়োজাহাজে ব্যবহারের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বছরে প্রায় তিন লাখ টন জেট ফুয়েল সরবরাহ করে পদ্মা অয়েল কোম্পানি। বর্তমানে জেট ফুয়েল আমদানির পর চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় মজুদ করা হয়। সেখান থেকে ট্যাঙ্কারে করে জলপথে নারায়ণগঞ্জের গোদলাইন ডিপোতে আনা হয়। এরপর গোদলাইন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি ট্যাঙ্ক লরির মাধ্যমে এ জ্বালানি শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত কুর্মিটোলা এভিয়েশনের ডিপোতে (কেএডি) নেয়া হয়। এই পথের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। এতে বছরে বিপিসির ভরচ হয় ৩০ কোটি টাকা। যানজটের কারণে ঢাকা শহরের মধ্য দিয়ে ট্যাঙ্ক লরির মাধ্যমে জেট ফুয়েল সরবরাহ করা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ পাইপলাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে অপারেশন লস ও পরিবহন খরচ কমবে বলে সংস্থাটি আশা করছে।
প্রকল্পের আওতায় কাঞ্চনব্রিজ এলাকায় একটি ডিপো ও জেটি নির্মাণ করা হবে। ডিপোতে তিন হাজার টন ধারণ ক্ষমতার তিনটি স্টোরেজ ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হবে। পাইপলাইন পরিচালনা, নিরাপত্তা ও ছিদ্র অনুসন্ধানে আধুনিক প্রযুক্তি থাকবে।