বিবিয়ানা চালু: গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক
রক্ষণাবেক্ষণ শেষে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র চালু করা হয়েছে। শুরু হয়েছে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ। খুলেছে সিএনজি স্টেশন।
বার্ষিক মেরামতের জন্য বিবিয়ানা ক্ষেত্র থেকে শনিবার ২৪ ঘন্টায় গ্যাস তোলা বন্ধ ছিল।
কল কলকারখানা বন্ধ। বিদ্যুতের চাহিদাও কম। অন্য যে কোন খোলা দিন বিবিয়ানা বন্ধ করলে সংকট হতে পারে বিবেচনায় ঈদের পর দিন শনিবারকে বেছে নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন।
আবাসিক গ্রাহকদের সংকট যেন না হয় এজন্য সিএনজি স্টেশনও বন্ধ রাখা হয়।
শেভরণ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। ঈদের সময় গ্যাসের চাহিদা কম থাকার কারণে এই সময়ে রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার প্রথম প্রহর থেকে সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ থাকবে জেনে পরের দিন শনিবারের জন্য আগেই গ্যাস নিতে স্টেশনে লম্বা লাইন দেখা যায়। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই যে যার মত গ্যাস ভরে নিয়েছেন। এজন্য সিএনজি স্টেশনগুলো বেশ ভীড় দেখা গেছে।
যারা দূর থেকে ঢাকা কিম্বা চট্টগ্রাম এসেছেন। তাদের কিছুটা সমস্যা ভোগ করতে হয়েছে। তবে বিকল্প হিসেবে তেল ব্যবহারের সুযোগ ছিল বলে বড় সমস্যা হয়নি।
রাজধানির মুগদাপাড়া, রামপুরা, বাড্ডাসহ কয়েকটি এলাকার সিএনজি স্টেশনে ঐ দিন রাতে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা গেছে।
সারা দেশে ৫৭০টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এসব স্টেশনে মোট গ্যাস সরবরাহের ছয় শতাংশ গ্যাস সরবরাহ হয়ে থাকে। এছাড়া শিল্প ও বাণিজ্য সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বিদ্যুৎ চাহিদাও কম ছিল। সেখানে গ্যাসের ব্যবহারও কম হয়েছে। এসব কারণে প্রায় অর্ধেক গ্যাস সরবরাহ কম হলেও সংকট হয়নি। গ্যাস চালিত প্রাইভেট কার ছাড়া অন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্যাস সংকটের কোন অভিযোগ পাও্য়া যায়নি।
সিলেটের বিবিয়ানা দেশের বড় গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি পরিচালনা করছে শেভরণ বাংলাদেশ। দেশের উৎপাদিত মোট গ্যাসের প্রায় ৪৫ শতাংশই আসে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে। গত বৃহষ্পতিবার ঈদের বন্ধের শেষ কার্য দিবসেও মোট চাহিদার ৪৪ দশমিক চার ভাগ গ্যাস এই ক্ষেত্র থেকে তোলা হয়েছে বলে পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়।