সামিট পাওয়ার বিবিয়ানা-২ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর অর্থায়ন নিশ্চিত করেছে। ৩৪১ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যৌথভাবে অর্থায়ন করছে এডিবি, আইএফসি ও আইডিবি। এই প্রথম বিদ্যুতের বেসরকারি খাতে এত বড় বিদেশী বিনিয়োগ হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সোনারগাঁ হোটেলে সংশ্লিষ্ট এসব ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি করেছে সামিট পাওয়ার। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে ২১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করা হয়েছে।
চুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ,বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, সামিট পাওয়ারের চেয়ারম্যান আজিজ খান, পরিচালক (অর্থ) আয়েশা আজিজ খান, এডিবি’র ইনফ্রস্টাকচার ফাইন্যান্স ডিভিশন-১ এর পরিচালক ডন পার্কা, আইএফসি’র আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রি বিভাগের ইনফ্রাস্টাকচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সের প্রধান হুয়ানচান চো, আইডিবি’র ইনফ্রাস্টাকচার বিভাগের পরিচালক ড. ওয়ালিদ আব্দেল ওহাবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটের হবিগঞ্জে বিদ্যুৎখাতের বেসরকারি উদ্যোক্তা সামিট বিবিয়ানা-২ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড গ্যাসভিত্তিক এই কেন্দ্র পন করবে। এই কেন্দ্রর যšú সরবরাহ করবে জিই। বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য মোট খরচ ধরা হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে সামিট ও জিই ৯০ মিলিয়ন ডলার দেবে। বাকি ২১০ মিলিয়ন ডলার ১৫ বছর মেয়াদে ঋণ হিসেবে দেবে তিনটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সংস্থা। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ৭৫ মিলিয়ন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ৭৫ মিলিয়ন এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) দেবে ৬০ মিলিয়ন ডলার।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, এই চুক্তি শুধু সই করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। আগামী এক মাসের মধ্যে এর বাস্তবায়নও শুরু হবে। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশে এই প্রথম কোনও বেসরকারি খাতে এতো বড় বিনিয়োগ হতে যাচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে আরও বড় বিনিয়োগের পথ সুগম হবে।
এ সময় সামিট পাওয়ারের চেয়ারম্যান আজিজ খান বলেন, সংকটের কারণে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০ ভাগ মানুষের কাছে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। ২০২০ সালের মধ্যে সরকারের ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ পূরণে সহায়ক হবে। এটা সামিটের দ্বিতীয় বড় প্রকল্প। এর আগে সামিট ১৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা নিয়ে ৩৩৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার মেঘনাঘাট কেন্দ্র চালু করেছে।
বিবিয়ানা-২ কেন্দ্রর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম সর্বনিম্ন এক টাকা ৮০ পয়সা। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে চায়না নর্থওয়েষ্ট ইলেক্ট্রিক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড।
Prev Post