বিমসটেকের জ্বালানিমন্ত্রীদের সভায় সহযোগিতা বাড়ানোর তাগিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিমসটেকের জ্বালানিমন্ত্রী পর্যায়ের তৃতীয় সভায়
আঞ্চলিক বিদ্যুৎ গ্রিড লাইন স্থাপন, বিদ্যুৎ বিনিময় ও মূল্য নির্ধারণ, জ্বালানি সহযোগিতার জন্য পরিকল্পনা, জ্বালানি কেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংক ও থাইল্যান্ডের জ্বালানি মন্ত্রী অংশ নেন।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সভায় বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানির টেকসই সরবরাহ অপরিহার্য। সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই জ্বালানির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হলে সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে হবে। বিমসটেক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সদস্য দেশগুলো নিজেদের অর্থনৈতিক ও কারিগরি অবস্থার উন্নতি করতে পারে। বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে তা সুযোগে পরিণত করতে হবে।
বঙ্গোপসাগরে বহুমাত্রিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত, ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারক সই প্রক্রিয়াধীন। বাংলাদেশ আঞ্চলিক ও উপ আঞ্চলিক সহযোগিতাকে সবসময়ই গুরুত্ব দেয়। আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির জন্য বিমসটেকের সহযোগিতা বাড়াতে হবে। সমস্যাগুলো দ্রুত, সমষ্টিগত এবং দৃঢ়তার সাথে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
নিয়মিত বৈঠক, বার্ষিক ইভেন্ট কেলেন্ডার, ই- লাইব্রেরি, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রশিক্ষণ বিমসটেককে আরও গতিশীল করবে বলে প্রতিমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
সভায় বিমসটেক গ্রিড ইন্টারকানেকশন, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় বিমসটেক গ্রিড ইন্টারকানেকশন মহাপরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়।
নেপালের জ্বালানি পানি সম্পদ ও সেচমন্ত্রী ফামফা ভূশাল এর সভাপতিত্বে সভায় ভুটানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব দাশু কারমা শেরি়ং, ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিং, মিয়ানমারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী ইয় অং থান, শ্রীলংকার বিদ্যুৎসচিব ওয়াসানথা পেররা, থাইল্যান্ডের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব কুলিত সোমবাতশিরি ও বিমসটেকের মহাসচিব তেঞ্জিন লেকফিল বক্তব্য রাখেন।