বেড়িবাধে ভূমিহীনদের বসবাসের সুযোগ দেয়ার দাবি
ভূমিহীনদের বেড়িবাধে বসবাসের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে ২১টি সংগঠন। এতে জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ রোধ করবে বলে তারা জানায়।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ঘুর্ণিঝড় ’৯১ স্মরণ ও উপকূলীয় ভূমির সুরক্ষা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই দাবি করা হয়।
আলোচনা সভার আয়োজন করে উপকূলীয় ২১টি উন্নয়ন সংগঠন। ঘুর্ণিঝড় ’৯১ স্মরণ উদযাপন কমিটি-র ব্যানারে আয়োজক সংগঠনগুলো হচ্ছে আইএসডিই, ইপসা, উদয়ন বাংলাদেশ, এমএমসি, এসডিএস, কোস্ট ট্রাস্ট, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা, ডাক দিয়ে যাই, ডোক্যাপ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা, নলসিটি মডেল সোসাইটি, পালস, পিরোজপুর গণ উন্নয়ন সংস্থা, প্রান, প্রান্তজন, সংকল্প ট্রাস্ট, সংগ্রাম, সিডিপি, স্পিড ট্রাস্ট এবং হিউম্যানিটি ওয়াচ।
কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দের সঞ্চালনায় সভায় সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, দুর্যোগ বিষয়ক গবেষক ডিজাস্টার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নইম গওহর ওয়ারা, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের বদরুল আলম, সংগ্রামের নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মোহাম্মদ মাসুম, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল, ইক্যুইটিবিডি-র সৈয়দ আমিনুল হক, ১৯৯১ সালের ঘুর্ণিঝড়ে পরিবারের ১১ সদস্য হারানো বাঁশখালির হাফেজ কারী মওলানা আব্দুল খালেক ছানবি। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কোস্টের সহকারী পরিচালক শওকত আলী টুটুল।
জাহাঙ্গীর হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, বেড়িবাঁধের ভেতরে যে খাল থাকে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা অবহেলায় হাজামজা হয়ে যায়। ফলে বাঁধের ভেতর পাশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তিনি আরো বলেন, অনেক জায়গাতে সুইজ গেট স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেন। ফলে সাধারণ কৃষক জলবদ্ধতা বা পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
আমিনুর রসুল বাবুল বলেন,
শওকত আলী টুটুল তার মূল বক্তব্য উপস্থাপনাকালে ভোলা ও কক্সবাজার জেলার গত ২ বছরের মানুষের ভোগান্তি ও দুর্দশার চিত্র এবং পাশাপাশি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি মাটির তৈরি বাঁধের বদলে কংক্রিটের সি-ডাইক নির্মাণ করে উপকূলীয় ভূমি রক্ষার সুপারিশ করেন।