ব্রুনাই থেকে বছরে ১০/ ১৫ লাখ টন এলএনজি পাওয়ার আশা 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ব্রুনাই দারুসসালাম থেকে বছরে ১০ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিকটন এলএনজি ২০২৩ সালের প্রথম থেকেই পাওয়া যেতে পারে।

ব্রুনাইয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জ্বালানি উপমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা হয়েছে, ব্রুনাই-এ বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালামের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে দ্বি-পাক্ষিক সভা হয়। সভায়, ব্রুনায়ের সাথে এলএনজি আমদানি করতে ১০-১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি হতে পারে। এছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমদানির পর টাকা দেয়া হবে ভিত্তিতে ব্রুনাই থেকে গড়ে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নতুন করে চুক্তি করতে হবে।

ব্রুনাই জ্বালানি সহযোগিতা ও সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে সম্মত হয়েছে।

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ব্রুনাই-এর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জ্বালানি উপমন্ত্রী ইয়ং মুলিয়া দাতো সেরি পাদুকা আয়ং হাজী মাতসাটেজা বিন সোকাইয়া নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।

ব্রুনায়ের সাথে এলএনজি আমদানি করতে

১০-১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি হতে পারে। এছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমদানির পর টাকা দেয়া হবে ভিত্তিতে ব্রুনাই থেকে গড়ে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নতুন করে চুক্তি করতে হবে। ব্রুনাই জ্বালানি সহযোগিতা ও সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে সম্মত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্রুনাই দারুসসালাম থেকে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে মোট ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৫ মেট্রিকটন ডিজেল আমদানি করেছে। শতভাগ নিজস্ব রিফাইনারি থাকার শর্তের জন্য ২০১৬ সালের পরে আর আমদানি করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে এই শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

গত ১৬ই অক্টোবর বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালামের মধ্যে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম সরবরাহে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

সভায় ব্রুনাই-এর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জ্বালানি বিষয়ক স্থায়ী সচিব ইয়ং মুলিয়া আযহার বিন হাজী ইয়ায়া, জ্বালানি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম বিন ইজমি, পেট্টোলিয়াম অথরিটির পরিচালক আড্রিয়াম ওয়াং কাই মিং, জ্বালানি বিভাগের জ্বালানি অংশীদারিত্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হাজী মো. জাকি বিন হাজী হাসানুল আস’সারি ছিলেন।

প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশের পক্ষে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আযাদ, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক যাবেদ চৌধুরী ও ব্রুনাই –এ নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা উপস্থিত ছিলেন।