বড়পুকুরিয়া খনির নতুন কূপ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির নতুন কূপ বা ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খনির নতুন ১২০৫ নম্বর কোল ফেইজ থেকে এ কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, খনির ১২০৮ নম্বর ফেইজের কয়লার মজুদ শেষ হয়ে গেছে। এজন্য গত ২২ নভেম্বর থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর নতুন করে ১২০৮ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লার তোলার ব্যবস্থা করা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে এই ফেইজের কয়লা তোলা হচ্ছে।
১২০৫ নম্বর ফেইসটিতে উত্তোলনযোগ্য কয়লার পরিমান ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন। তবে এ ফেইসটি ঝুঁকিপূর্ণ।
১২০৫ নম্বর কোল ফেইস থেকে এর আগে পরীক্ষমূলক  কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয় ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের শেষে। উৎপাদন শুরুর কয়েকদিন পর ১০ মে ওই ফেইসে পানির প্রবাহ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়ে জলাধারের সৃষ্টি হয় এবং কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।

খনির ভূ-গর্ভে কয়লা স্তরের উপরের অংশে কিছু কিছু জায়গায় বড় বড় পানির পকেট রয়েছে। কয়লা কাটতে গিয়ে পানির পকেট ভেঙে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সে সময় খনি ভূ-গর্ভে স্থাপিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১৩টি পাম্প ২৪ ঘণ্টা চালু রেখে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার ঘনমিটার পানি সারফেজে সরিয়ে ফেলেও পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। পরবর্তীতে ১২০৫ নম্বর কোল ফেইসটি সাময়িকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুজ্জামান জানান, ১২০৫ নম্বর ফেইসে পানির প্রবাহ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পর সে সময় খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকাদার সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের এক্সপার্টরা চীন থেকে এসে ফেইজটি পরিদর্শন ও পরীক্ষা নিরিক্ষা করে যাবতীয় তথ্য উপাত্ত নিয়ে যায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভিন্ন প্রক্রিয়ায় পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রেখে ওই ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করেছে