ভারতের সঙ্গে জ্বালানি ভারসাম্য থাকা দরকার: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি বাণিজ্যে ভারসাম্য আনা দরকার। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। প্রয়োজনে ত্রিপুরা বাংলাদেশ থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে পারে।
আজ মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন: বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল পরিস্থিতি বিষয়ে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
আইইবির ঢাকা কেন্দ্রের সভাপত্তি মেজবাহুল রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী কবির আহমদ ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান, ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার প্ল্যাণ্টের (ওটিপিসি) কর্মকর্তা সুধীন চট্টপধ্যায় সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে ত্রিপুরার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি‘র আহ্বায়ক প্রকৌশলী সপ্তদীপ সাহা গ্রিড সংযোগের উপর এবং পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী ড. অজয় কুমার চক্রবর্তী স্মার্ট গ্রীডের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যে ভারসাম্য থাকা উচিত। তাহলে বন্ধুত্ব আরো ভাল থাকবে। এক্ষেত্রে ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে। এই চারদেশে প্রায় ১৫ লাখ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আদান-প্রদান করা সম্ভব। এতে প্রত্যেক দেশের মাথাপিছু আয় বাড়বে। ভারত থেকে আমরা আরো বিদ্যুৎ আমদানি করবো।
সেমিনারে ভারতের প্রতিনিধিরা বলেন, ভারতে প্রায় ৪০ হাজার মেগাওয়াট অলস বিদ্যুৎ পড়ে আছে। বাংলাদেশ চাইলে আরো বিদ্যুৎ নিতে পারে। এজন্য প্রয়োজন যথাযথ দাম ও চুক্তি। বাংলাদেশের সেমিনারে উপস্থাপন করা এক প্রবন্ধকে ইঙ্গিত করে সুধীন চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুধু পরিকল্পনা নয়, বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতের প্রতিনিধি প্রকৌশলী অজয় কুমার চৌধুরী বলেন, আধুনিক গ্রিড, মিটার এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়ানো দরকার বলে তিনি মনে করেন।