ভোলায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি
ভোলায় ২০০ মেগাওয়াটের একটি দ্বৈত জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে ভারতীয় কোম্পানি শাপুর্জি পালনজি। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গ্যাস দিয়ে ২২০ মেগাওয়াট এবং ডিজেল দিয়ে ২১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে ভারতীয় কোম্পানি শাপুর্জি পালনজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘নতুন বিদ্যুৎ (বাংলাদেশ) লিমিটেড’-এর এ চুক্তি সই হয়।
চুক্তিতে পিডিবির পক্ষে সংস্থার সচিব মিনা মাসুদ উজ্জামান ও নতুন বিদ্যুৎ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জে সিনহা মহাপাত্র স্বাক্ষর করেন। পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ ও শাপুর্জি-পালনজি-এর ব্যবস্থাপনার পরিচালক মুকুন্দন শ্রী নিবাসন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নিরাপদ ও উপযোগী পরিবেশের জন্য বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে। জার্মানি, সুইডেনসহ ইউরোপিয়ান দেশগুলোও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, ভারতের শতভাগ বেসরকারি বিনিয়োগে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি হচ্ছে। বিদ্যুতের চাহিদা কাক্সিক্ষত হারের চেয়েও দ্রুত বাড়ছে। বছরে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। এ চাহিদা পূরণে বিদ্যুৎ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২২ বছরমেয়াদি চুক্তির আওতায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে এই কেন্দ্রের গ্যাসে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি তিন দশমিক ৯৮৩০ সেন্ট/ইউনিট (দেশীয় মুদ্রার ৩ দশমিক ১৯ টাকা) এবং ডিজেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম ১৬ দশমিক ৯৬২১ সেন্ট বা ১৩ দশমিক ৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।