মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ‌্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন

কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়।
মাতারবাড়ি প্রকল্পের অধীনে মহেশখালির মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ৬০০ মেগাওয়াট করে ১২০০ মেগাওয়াটের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
মন্ত্রী জানান, মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। যেখানে পানি গরম ও ঠান্ডা করার জন্য সমুদ্রের উপরিভাগের পানি ব্যবহার করা হবে। এ কেন্দ্রের কর্মদক্ষতা হবে ৪১ দশমিক ৯৯ ভাগ, যা দেশের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় কর্মদক্ষতা (৩৪ শতাংশ) থেকে ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি।
এই বিদু্যৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি তিন লাখ টাকা ঋণ দেবে।
এছাড়া সরকারি খাত থেকে চার হাজার ৯২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং বাকি দুই হাজার ১১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে।
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া একনেক বৈঠকে আরও ৪টি প্রকল্প অনুমোদন হয়। এসব প্রকল্পে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। অনুমোদিত ৫টি প্রকল্পের মধ্যে ২টি নতুন এবং ৩টি সংশোধিত।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে- হাওর অঞ্চলের বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবন-মান উন্নয়ন প্রকল্প, যশোরে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি) স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প এবং বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণমূলক আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প।
একনেক সভায় অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসনে আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।