মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে দরপত্র ছাড়া এলএনজি চুক্তি
বছরে ৫০ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি নন-বাইন্ডিং (বাধ্যতামূলক নয় এমন চুক্তি) চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজি।
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে এই চুক্তির বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানকে উদ্ধৃত করে বলেন, মূল বিষয়গুলো নির্ধারণ করে আলোচনার সুযোগ রেখে স্বাক্ষরিত অবাধ্যতামূলক হেডস অফ অ্যাগ্রিমেন্ট (এইচওএ) প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ।
তিনি বলেন, একটি সম্পূর্ণ ও বাধ্যতামূলক চুক্তির পথে বাংলাদেশের আইন অনুসরণ করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৬; পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস, ২০০৮ এবং ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রোটেকশন) অ্যাক্ট, ১৯৮০।
এর আগে গত শুক্রবার আর্জেন্ট এলএনজি এক বিবৃতিতে, বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি চুক্তির কথা জানায়। রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার এ তথ্য জানান।
বছরে ৫০ লাখ টন এলএনজি কিনতে মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাংলাদেশের
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর এটিই এলএনজি সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বড় ধরনের চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে নতুন মার্কিন প্রশাসনের জ্বালানিবান্ধব নীতিই প্রতিফলিত হলো বলে উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো।
আর্জেন্ট এলএনজি বছরে ২৫ মিলিয়ন এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতার একটি অবকাঠামো গড়ে তুলছে লুইজিয়ানায়।
লুইজিয়ানার পোর্ট ফোরশনে আর্জেন্ট এলএনজির প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এর কার্গোগুলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলায় সরবরাহ করা হতে পারে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।