মিটার আগুনে পুড়িয়ে ও রিডিং মুছে বিদ্যুৎ বিল জালিয়াতি

বিদ্যুতের মিটার আগুনে পুড়িয়ে ও রিডিং মুছে বিদ্যুৎ বিল জালিয়াতির ঘটনা উদ্ঘাটন করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) স্পেশাল টাস্কফোর্স।রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ‘ইউরো মার্বেল অ্যান্ড গ্রানাইট ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামক একটি টাইলস কারখানায় এভাবে বিদ্যুৎ বিল ফাকির ধরা পড়েছে।

ডিপিডিসি’র সচিব এবং স্পেশাল টাস্কফোর্সের প্রধান মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী গত ২ জুলাই তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আকস্মিক অভিযান পরিচালনার সময় দেখেন, এ কারখানার মিটারটি গায়েব করে একটি সীলবিহীন নতুন মিটার বসানো হয়েছে।

নতুন মিটার বসাতে হলে আবেদনপত্র দাখিল, ফি জমা ও মিটার টেস্টিং করে এবং পুরনো মিটার স্টোরে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও এখানে তা মানা হয়নি। ঘটনা উদ্ঘাটনের পর পরই কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মালিক জাকির হোসেন ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার গায়েব করে ফেলা পুরনো মিটারটি উদ্ধার করে দেখা যায়, মিটারটি আগুনে পুড়িয়ে ডাটা নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে। হিসেব করে দেখা গেছে, এ ঘটনায় ৪২ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ গোপন রাখা হয়েছে, যা কম্পিউটারে ধরা পড়েছে।

কারখানা মালিকের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মঙ্গলবার টাস্কফোর্স কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ ঘটনা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার দায়ে বিদ্যুৎ চুরির ক্ষতিপূরণ বাবদ কারখানার মালিককে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং মালিক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ডিপিডিসি তেজগাঁও বিভাগের দু’জন কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলেন জুনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার মো: শফিউল্লাহ এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মনিরুজ্জামান।

টাস্কফোর্স প্রধান মুনীর চৌধুরী জানান, এ কারখানায় অতীতের বিদ্যুৎ বিলে আরও কারচুপি করা হয়েছে, যা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। শুধু জরিমানা নয়, ফৌজদারি মামলায়ও অপরাধীদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এ ধরনের দুর্বৃত্তপনা বন্ধে কঠোর অভিযান চলবে।