মিয়ানমার ছাড়ছে শেভরন ও টোটাল

ইবি ডেস্ক:

মিয়ানমারে গেল বছর সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতির কথা বলে দেশটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি কোম্পানি টোটালএনার্জিস ও শেভরন করপোরেশন।
সামরিক জান্তার রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানিকে আহ্বান জানিয়ে প্রচার চালিয়ে আসা গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের জন্য এ এক বড় জয় বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা।
ফরাসি কোম্পানি টোটাল এক বিবৃতিতে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আইনের শাসনের অবনতির কথা উল্লেখ করে বলেছে, এ পরিস্থিতির কারণে টেটালএনার্জিস দেশটিতে যথেষ্ট ইতিবাচক অবদান রাখতে পারছে না।
অপরদিকে মার্কিন জ্বালানি কোম্পানি শেভরনও বলেছে, বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে তারাও মিয়ানমার ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যানুযায়ী, প্রাকৃতিক গ্যাস খাত থেকে মিয়ানমার জান্তা প্রতিবছর ১০০ কোটি ডলারের বেশি রাজস্ব পায়। দেশটির বিদেশি মুদ্রা আয়ের বৃহত্তম উৎস এটি।
ফরাসি কোম্পানি টোটাল ২০২১ সালে নাম বদলে টোটালএনার্জিস হয়েছে। কোম্পানিটি গেল শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে মিয়ানমারের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ইয়াদানা গ্যাস প্রকল্প পরিচালনা করছে। গ্যাসক্ষেত্রটির ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশের মালিকানা রয়েছে কোম্পানিটির।
একই গ্যাস প্রকল্পে মার্কিন কোম্পানি শেভরনের মালিকানা রয়েছে ২৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। কোম্পানিটি মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডকে গ্যাস সরবরাহ করে।
উভয় জ্বালানি কোম্পানিই এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে নিজেদের ‘প্রত্যাহারের’ ক্ষেত্রে চুক্তি এবং অংশীদার কোম্পানির সঙ্গে পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে সেগুলোসহ অন্যান্য বিষয়ে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে।

চলমান দমনপীড়নের ওপর নজর রাখা সংগঠন ‘অ্যসিসটেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স’ এর হিসাব মতে, সামরিক শাসনের বিরোধিতা করায় এ পর্যন্ত মিয়ানমারে অন্তত ১১ হাজার ৬৫১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। মারা গেছেন এক হাজার ৪৮৮ জন।

আন্দোলনকর্মীরা এ দমনপীড়নের জবাবে দেশের সব কোম্পানিগুলোকে মিয়ানমারের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার ডাক দিয়ে আসছিল।